ইঞ্জি.আকরাম-সুজন, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
মেয়ের তালাক নেওয়ার দেনমোহরের টাকা বাবা নিতে চাওয়ায় মা-ছেলে ও মেয়ে মিলে বাবাকে হত্যা করে ৩ মাস আগে রান্না ঘরের মেঝেতে পুতে রাখেন।
নিহত সেই ব্যক্তির নাম সানাই (৪৫)। সে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, ৩ মাস আগে স্ত্রী সন্তান মিলে সানাই কে হত্যা করে রান্না ঘরের মেঝেতে গর্ত করে চাপা দেয়া হয়। এ ঘটনার পর দুই মেয়ে সোনিয়া রিমা ও মা ঢাকায় গার্মেন্টস এর কাজে চলে যাই। সানাই এর বাড়িতে তিন মাস তালাবদ্ধ দেখে সানাই এর বড় ভাই নিহতের খোজ জানতে চায় তার ভাতিজার নিকট। বাবা ফিরে আসবে না এমন কথা বলায় সন্দেহের আবির্ভাবে রানার বড় চাচা মোঃ বারিক বিশ্বাস খোকসা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। বিভিন্ন তদন্তের পর অবশেষে সানাই হত্যার মূল আসামি ছেলে রানাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে এ ব্যাপারে খোকসা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-০২ তারিখ ০২/০৫/২০১৯ ইং।
ও নিহতের বড় ভাই মোঃ আব্দুল বারিক বিশ্বাস (৬৭) এর অভিযোগের উপর ভিত্তি করে নিহতের ছেলে রানা বিশ্বাস (২৪) এর স্বীকারোক্তি মোতাবেক জানা গেছে, অভাবের সংসার ১ স্ত্রী মোছা: রানী খাতুন , ২ মেয়ে, সোনিয়া (২৬) রিমা (১৬) ৭ ম শ্রেনীর ছাত্রী ১ ছেলে রানা বিশ্বাস (২৪) কে নিয়ে
নিহতের বড় ভাই মোঃ আব্দুল বারিক বিশ্বাস বলেন, নিহত সানারুদ্দিন ওরফে সানাই (৪৫) কখনো ফেরি কখনো কামলা বা কখনো দিনমজুরি করে জীবন যাপন করছিল।
এরই মাঝে বড় মেয়ে সোনিয়াকে বিয়ে দেয় প্রথমে কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের। বিয়ে দেওয়ার মাত্র দুই মাসের মধ্যে বড় মেয়ের সোনিয়ার সংসার ভেঙ্গে যায়। স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সেখান থেকে দেনমোহরের ৭২ হাজার টাকা নিয়ে সনিয়াকে ছাড়িয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে ওই সোনিয়াকে কুষ্টিয়ায় নতুন করে বিবাহ দেওয়া হয়। সেখানেও সোনিয়ার সংসারটি না টিকায় সেখান থেকেও তালাক দিয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানেও দেনমোহর টাকা বাবদ ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা সনিয়া নিয়ে আসে। টাকাগুলো সোনিয়ার বাবা সানাই তার ভায়রা ভাই এর মাধ্যমে রেখে দেয়। কিন্তু কিছুদিন পর টাকাগুলো সোনিয়া ও সোনিয়ার মায়ের হাতে সোনিয়ার খালু দিয়ে যায়। অভাবের সংসার চালাতে উক্ত টাকা সোনিয়ার বাবা সানাই চাইলে সোনিয়ার মা সোনিয়া ও তার ভাই বাবু দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে বাবা সানাই ক্ষিপ্ত হয়ে পরিবারের সকলকে মারধর করে। রাতেই সোনিয়ার মা ও তার ভাই রানা দুজনের যুক্তি করে বাবা সানাই কে হত্যার করে।