মো: হারুন অর রশিদ পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইন এবং ২০০০সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুইজন কে আসামী করে গত ১৭ মে শুক্রবার সোনালী বেগম বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা হওয়ার পর ঐ দিনই আসামীদের গ্রেফতার করেছে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ। আজ সোমবার সাংবাদিকরা এ বিষয়ে মামলার বাদী দশম শ্রেণীর ছাএীর মা সোনালী বেগম এর সহিত তার বাসায় যোগাযোগ করলে বাসায় কোন লোককে বাসায় পাওয়া যায়নি ।
এলাকাবাসী সূএে জানা যায় মামলা হওয়ার পর পরিবারটি বাসায় অনেক লোকের সমাগম ঘটেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী বলছে আসামীপক্ষরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে বর্তমানে পরিবারটি পলাতক রয়েছে। মামলার এজাহার সূএে জানা যায় আসামীরা কিশোরিকে কোচিং কøাসে একা পেয়ে প্রথমে তাকে ডিসি পার্ক সংলগ্ন এলাকায় ঘুরতে নিয়ে যায়।
এরপর মিঠাপুকুর শাহী মসজিদ এর সামনে কবরস্তান সংলগ্ন কাচা রাস্তার পার্শে ্একটি পরিত্যাক্ত ইটের ঘরে আমার মেয়েকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী টেনে হেছরে নিয়ে যায় আসামি ফজলুল হক সাগড় ও জাফরুল ইসলাম অন্তর । এরপর এক পর্যায়ে আমার মেয়ের নগ্ন ভিডিও ধারন করতে থাকে। সে সময় আমার মেয়ে চিৎকার শুরু করলে আসামি ১ নং আসামি আমার মেয়েকে হুমকি দিয়ে বলে চিৎকার করলে মোবাইলে ধারণকৃত অশ্লীল ভিডিও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিবো।
এজন্য আমার মেয়ে চিৎকার করতে পারে নি সেই সূযোগে আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন আপওিকর জায়গায় হাতাহাতি করে আসামির এক হাত দিয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও করে নেয়। এরপর আসামিরা যোগসাযেশে আমার মেয়েকে ভয়ভিতি প্রদর্শন করে ধর্ষনের চেষ্টা করেছে বারবার এবং আমার মেয়ের নগ্ন ধারণকৃত ভিডিও আসামির মোবাইল সহ বিভিন্ন জায়গায় ছেড়ে দিয়েছে। আজ ২০ মে সাংবাদিকরা গ্রেফতারকৃত পঞ্চগড় গণপূর্ত কর্মচারী
ফজলুল হক সাগড় এর বিষয়ে পঞ্চগড় গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহি প্রকৌশলী রাজিবুল ইসলাম এর সাথে সাক্ষাত করলে তিনি জানান আমরা এ বিষয়ে আইনানূগ ব্যাবস্থা গ্রহন করব।