ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কখনও কাস্টমসের সহকারী কমিশনার পরিচয়ে। আবার কখনও বা কমিশনারের আত্মীয়। সম্পর্ক ভাল করার পর প্রস্তাব দেন কাস্টমসের জব্দ করা স্বর্ণের বারসহ মূল্যবান সামগ্রী কম দামে বিক্রির। এভাবে পণ্যের নির্ধারিত দামের একাংশ বা পুরো টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে তারা পালিয়ে যেতেন।
র্যাব-৪ প্রতারক চক্রের এই ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করে এসব চাঞ্জল্যকর তথ্য জানায় ।
গ্রেফতাররা হলেন- নুরুল হক, শেখ আলম, ফিরোজ আলম, মোশারফ হোসেন, মাসুদ রানা ও রেনু মিয়া ওরফে রনি। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে সহকারী কাস্টমস কমিশনারের দুটি নকল র্যাঙ্ক ব্যাজ, ছয়টি সাদা শার্ট, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ২০টি ভিজিটিং কার্ড ও প্রতারণায় ব্যবহূত আটটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে বলে জানায় র্যাব- ৪।
র্যাব জানায়, মূলত তিনটি কৌশলে প্রতারণা করত এই চক্র। শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে প্রতারণার কৌশল হিসেবে তারা চাকরি দেওয়ার কথা বলতেন। এ সময় তারা নিজেদের পরিচয় দিতেন কাস্টমসের সহকারী কমিশনার, কমিশনারের ভাই, শ্যালক বা ভাগ্নে হিসেবে।
কাস্টমসের বিভিন্ন পদে নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে তারা মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করতেন। একপর্যায়ে কাস্টমসের র্যাঙ্ক ব্যাজ সংবলিত ইউনিফর্ম পরে কাস্টমসের লোগো সংযুক্ত দামি গাড়িতে চড়ে গিয়ে দেখা করতেন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে। এরপর নিয়োগপত্র দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিতেন।