এম আর মামুন, রাবি টাইমস : বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। বৈশাখকে বরণ করে নিতে ধুম পড়েছে দেশজুড়ে। পিছিয়ে থাকছে না বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় বিভিন্ন সংগঠন ও বিভাগ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের(রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগ বলতে গেলে বৈশাখী আয়োজনে অনেকটা এগিয়ে। নববর্ষের প্রথম প্রহরে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সম্মিলিত মঙ্গল শোভাযাত্রা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরের আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তারপরেই থাকছে- পান্তা-ইলিশ খাওয়া, বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দুপুরের খাবারের পর বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ব্যান্ড ’ব্লাক’ ও ’প্রিজম’র পরিবেশনায় জমকালো আয়োজন।
নতুন বছরকে বরণ করে নিতে এখন বিভাগে চলছে উদ্দীপনা। কেউ ছবি আঁকছেন, কেউ মুখোশ গড়ছেন, কেউ বা আবার হাঁড়ি-পাতিলের ওপর কারুকার্য তৈরিতে ব্যস্ত। রং করার পর সেগুলো টাঙানো হচ্ছে দেয়ালে। অসাধারণ এসব শিল্পকর্ম দেখলেই মন ভরে যায়।

বিভাগের প্রায় প্রত্যেক ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রার নানা অনুষঙ্গ তৈরিতে কাজ করছেন। এসব কাজের মূল দায়িত্ব পালন করছেন ১৯, ২০ ও ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। কাঙ্খিত সেই দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কাজ শেষ করার তৎপরতা।

বিভাগের ১৯তম ব্যাচের মেহেদী হাসান তায়েব বলেন, বর্ষবরণ বাঙালির প্রানের উৎসব। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো আমরা দিনটিকে বিভাগের হয়ে বরণ করে নিব। বলা হয় অশুভ শক্তির প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে কাজ করে মঙ্গল শোভাযাত্রা । মুছে যাক গ্লানি, সকল অন্যায়-বিভেদ, দূর হোক অশুভ শক্তি এটাই আমাদের প্রতিটা শিক্ষার্থীর কাম্য।
বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রুস্তম আলী আহমেদ বলেন, জাতীয় এবং সাংস্কৃতিক সকল অনুষ্ঠানে ফাইন্যান্স বিভাগ কর্মসূচী হাতে নিয়ে থাকে। তারই অংশ হিসেবে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার কাজ প্রায় শেষের দিকে। বাঙালী ঐতিহ্যের মূল আকর্ষণ সবার সামনে তুলে ধরতে লোকজ ঘোড়া, পাখি, মুখোশের ডামি, এবং ব্যানার-ফেস্টুন বানানোর প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরো বলেন, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতে গেলে রাসিক মেয়র জনাব এ এইচ এম খাইরুজ্জামান (লিটন) উক্ত অনুষ্ঠানে থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন বলে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।