আজ শুক্রবার। ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় রাত ২:২৯

রিফাত হত্যা : খুনি নয়নের সাথে মিন্নির বিয়ে প্রকাশ্যে

রিফাত হত্যা : খুনি নয়নের সাথে  মিন্নির বিয়ে প্রকাশ্যে
নিউজ টি শেয়ার করুন..

বরগুনা প্রতিনিধি:

বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তার ওপর স্ত্রীর সামনে স্বামীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নির সঙ্গে প্রধান আসামী সাব্বির হোসেন নয়ন ওরফে নয়ন বন্ডের বিয়ে হয়েছিল।রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড নিয়ে একের পর এক বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। রিফাতের পারিবারিক কয়েকটি সূত্র বলছে রিফাতের স্ত্রী মিন্নিই এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীী।


তাদের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাজী মো. আনিসুর রহমান ভূঁইয়া।তিনি বরগুনা পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্টার। বরগুনা পৌরসভার ডিকেপি রোডের কেজি স্কুল নামক স্ট্যান্ডে তার অফিস।
নয়ন বন্ড ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বিয়ের প্রথম স্বাক্ষী রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের দ্বিতীয় আসামি বাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজি। গত বছরের ১৫ অক্টোবর আছরের নামাজের পর তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের দেনমোহর হয়েছিল ৫ লাখ টাকা। তবে দেনমোহরের কোনো নগদ পরিশোধ ছিল না।

এই মিন্নি গত ২৬-০৬-১৯ খ্রিঃ সকাল ১০.৩০ ঘটিকার সময় রিফাত শরীফকে বরগুনা সরকারি কলেজে সাথে করে নিয়ে যায়। এবং খুনি নয়নের সাথে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে নিজের স্বামীকে হত্যা করে।
প্রথমে কলেজের ভিতরে বসে রিফাত শরীফকে ১. নয়ন, ২. রিফাত ফরাজি ৩. রিশাদ ফরাজি ও অন্যান্য সহযোগীরা লাঠি ও চটপটি ভ্যানের লম্বা চামিচ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধোর করে। তখন মিন্নী দাঁড়িয়ে দাড়িয়ে তামাশা দেখতেছিল।


মারামারি এক পর্যায় মারতে মারতে রিফাত শরীফকে কলেজ গেটের সামনে নিয়ে যায়। এবং চলন্ত রাস্তার মধ্যে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
তখন মিন্নী স্বামীকে বাঁচানোর যে নাটক টা করেছে সেটার কারণে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজটির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পাব্লিসিটি পেয়ে যায়। কিন্তু পাবলিসিটি দেয়া মানুষ গুলো জানেনা এই মিন্নী খুনি নয়নের সাথে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে

কাজী মো. আনিসুর রহমান বলেন, বিয়ে করার জন্য নয়ন ও মিন্নিসহ ১৫ থেকে ২০ জন লোক আসে আমার অফিসে। এসময় নয়ন ও মিন্নি তাদের ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার প্রমাণস্বরূপ এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট নিয়ে আসে। এরপর আমি মেয়ের বাবার সঙ্গে কথা বলে জানতে চাইলে তারা বলে, মেয়ের বাবা আসবে না, আপনি মেয়ের মায়ের সঙ্গে কথা বলেন।

এরপর মিন্নির মা পরিচয়ে একজন আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।
তিনি আমাকে বলেন, বিয়ের বিষয়টি আমরাতো জানি। মিন্নির বাবা বিয়েটা এখন মানবে না। আপনি বিয়ে সম্পন্ন করেন। বিয়ের কিছুদিন পর ঠিকই মেনে নেবেন। এরপর আমি পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে নয়ন ও মিন্নির বিয়ে সম্পন্ন করি। এ বিয়ের উকিল ছিলেন শাওন নামের একজন। শাওন ডিকেপি রোডের মো. জালাল আহমেদের ছেলে।

কিন্তু এর আগে মিন্নি বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে একমাত্র রিফাত শরীফের সঙ্গে। এছাড়া আর কখনো কারও সঙ্গে বিয়ে হয়নি। যেহেতু বিয়েই হয়নি, ডিভোর্স হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। রিফাতই আমার স্বামী এবং এটাই সত্য। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটাই দাবি করি, যারা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই

নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর