আজ বৃহস্পতিবার। ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় সকাল ৯:৪১

মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ নোবিপ্রবি’র আবাসিক শিক্ষার্থীরা

মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ নোবিপ্রবি’র আবাসিক শিক্ষার্থীরা
নিউজ টি শেয়ার করুন..

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি :

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) আবাসিক হলগুলোতে মশার উৎপাত দিনের পর দিন বেড়েই চলছে।দিন আর রাত নেই অবিরত চলতেই থাকে মশার অত্যাচার।

বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে বেড়ে যায় মাত্রাতিরিক্ত মশার উৎপাত। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে হলে অবস্থান করাও কঠিন হয়ে পড়ছে। এতে একদিকে যেমন পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে অন্যদিকে মশাবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়,পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবসহ প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা দিনে ও রাতের বেলা কয়েল, মশারি টাঙিয়েও কিছুতেই মশার কামড় থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।এমনকি দিনের বেলা ক্লাস ও পরীক্ষা দিতে গিয়েও মশার যন্ত্রণায় শান্তি নেই।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মশা নিধনের জন্য ওষুধ প্রয়োগ না করায় দিন দিন বেড়েই চলেছে মশার উৎপাত। অতিরিক্ত মশার কামড়ে চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে তৈরি হওয়া বিভিন্ন আবর্জনা ও ড্রেন পরিষ্কার, হলের চারপাশের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার এবং মশা নিধনের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনকে জানালেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ আব্দুস হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী কালের কণ্ঠকে বলেন, মশার উপদ্রবে ঠিকমতো পড়াশোনা করা দায়।সারাদিন থাকে ক্লাস এক্সাম।বিকাল এবং রাতে একটু শান্তিতে ঘুমাবো সেটাও পারিনা।এভাবে চলতে থাকলে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে আমার মতো ভুক্তভোগীদের।

হযরত বিবি খাদিজা হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী কালের কণ্ঠকে জানান, ক্যাম্পাসের সর্বত্র মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে।কয়েল জ্বালিয়েও মশা থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না।মশা নিধনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রভোস্ট ও নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. গাজী মো. মহসীন কালের কণ্ঠকে বলেন, মূলত ক্যাম্পাসের বাহিরের একটি ডোবা থেকে মশার সৃষ্টি হচ্ছে।এছাড়া ক্যাম্পাসের ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় ঝমে থাকা পানি,ময়লা আবর্জনার স্তুপ থেকেও মশার সৃষ্টি হচ্ছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে।আশা করি দ্রুত সমস্যাটির সমাধান হবে।


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর