বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, আমাদের জাতীয় জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবন আজ নানা সমস্যায় জর্জরিত। সুবিধাবাদি আর লুন্ঠনকারীদের হাতে আমাদের রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হতে। আর এই কারণেই বর্তমান সরকার চরম স্বৈরাচারি শাসন চালাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে দেশ জাতি ও জনগনকে মুক্তি দিতে প্রয়োজন গণমুখি নেতৃত্ব।
শুক্রবার ঢাকা রিপার্টাস ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ছাত্রকেন্দ্র ও সোনরবাংলা পার্টির প্রতিষ্ঠা সভাপতি মীরাজুল ইসলাম আব্বাসীর ১০ম মৃতু্যবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আ’লীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টি-জামায়াত সকল দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সন্তানরা আজ বেশীরভাগই বিদেশী নাগরিক। তারা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নির্মানে সচেতন হলেও সাধারণ মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবেন না। এ ক্ষেত্রে মিরাজ আব্বাসী অবশ্যই ছিলেন বেতিক্রম। তিনি আজীবন মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করেছেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক মীরাজ আব্বাসীর অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, জাতি হিসাবে আমাদের স্বাধীনতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। দেশের ১৭ কোটি মানুষের মাঝে একজনই কেবল স্বাধীন। তিনিই স্বাধীনভাবে সকল কাজ করতে পারেন, সকল কথা বলতে পারেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগনের ভোটাধিকারের কবর রচনা করেছে। মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাবার সকল আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজন নূণ্যতম ইসু্যতে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, আপাদমস্তক একজন দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতা ছিলেন মিরাজ আব্বাসী। যিনি জনগনের মুক্তির জন্য রাজনীতি করেছেন, নিজের আখের ঘোচানোর জন্য নয়। ভারতীয় পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রথম কাতারে থেকে সংগ্রম করেছেন, লড়াই করেছেন।
তিনি বলেন, দেশ আজ দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে। কৃষক ধানের মূল্য পাচ্ছে না, পাটকল শ্রমিকরা তাদের মজুরী পাচ্ছে না। কৃষক ধান ক্ষেতে আগুন লাগাচ্ছে আর সরকারের ভিতরে লুটেরাগোষ্টি রুপপুরে লুটের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজন দেশপ্রেমিক আধুনিক নেতৃত্ব।
সোনার বাংলা পার্টি সভাপতি শেখ আবদুল নূরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশিদের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, সেনার বাংলা পার্টির উপদেষ্টা ড. ঈসা মোহাম্মদ, আন্তর্জাতিক পুরষ্কারপ্রাপ্ত ভাষ্কর রাশা, জাগপা যুগ্ম সম্পাদক আসাদুর রহমান খান, নাগরিক ভাবনা আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা রাজু আহমেদ, পার্টির নির্বাহী সদস্য নজরুল ইসলাম প্রমুখ।