ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার অভিযুক্ত অধ্যক্ষের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত ওই মিছিলের একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে আসামি নূরউদ্দিনকে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়। নুরউদ্দিন তার বক্তব্যে বলে— ‘আমাদের সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সাহেবকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে পুলিশ বাহিনী অ্যারেস্ট করেছেন। প্রিন্সিপাল হুজুরকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা থেকে মুক্তি দেওয়া না হয়… এই সোনাগাজীর মাদ্রাসা থেকে শুধু ছাত্রলীগ তৈরি হয় না, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির তৈরি হয় না, এই মাদ্রাসা থেকে একজন আলেমও তৈরি হয়। এই সোনাগাজী মাদ্রাসার আলেমসহ সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি আমাদের প্রিন্সিপাল হুজুরকে মুক্তি দিতে হবে।’
ভিডিওতে নুরউদ্দিন আরও বলে, ‘পুলিশ প্রশাসন বলেছে, নির্বাচনের জন্য মিটিং -মিছিল বন্ধ করা হয়েছে। আমরা আপনদের কথা শুনেছি। আপনারা সাংবাদিকরা যদি আমাদের নামে খারাপ রিপোর্ট করেন, আমরা তাদের ছাড় দেবো না।’
‘আগামী রবিবার-সোমবার আমাদের হুজুরকে কোর্টে ওঠানো হবে। আমাদের হুজুরকে যদি মুক্তি দেওয়া না হয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য সোনাগাজী মাদ্রাসা বন্ধ থাকবে। আমরা সকল ছাত্র জনতা বলছি, প্রিন্সিপাল স্যারকে যদি মুক্তি দেওয়া না হয়, তাহলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
সমাবেশে নূরউদ্দিন বলে, ‘আরেকটা কথা বলতে চাই, এই মাদ্রাসা কমিটিতে ছিল কুলাঙ্গার শেখ মামুন। তাকে কমিটি থেকে বের করে দেওয়ার কারণে সে মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদেরকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। আমাদের মানববন্ধনে, ব্যানার ও ফেস্টুনে সেই কুলাঙ্গার শেখ মামুন হাত দিয়েছে। আমরা তার বিচার চাই।’
আমাদের প্রিন্সিপাল হুজুরকে যদি নিঃশর্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তি দেওয়া না হয়, তাহলে সোনাগাজী নয়, পুরো বাংলাদেশের আলেমসমাজ তাদের ছাড়বে না।’
উল্লেখ্য ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন নুসরাত। এ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা নুসরাতকে তার কক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন- এমন অভিযোগে গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার। ছাত্রীর স্বজনদের অভিযোগ, মামলা প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় অধ্যক্ষের পক্ষের লোকজন নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।