আজ বৃহস্পতিবার। ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় বিকাল ৫:৪৫

প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকার করায় নার্সের আত্মহত্যা

প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকার করায় নার্সের আত্মহত্যা
নিউজ টি শেয়ার করুন..

সদরুল অাইন :

ভৈরবে প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকার করায় তানিয়া বেগম (২৩) নামে এক তরুণী নার্স আত্মহত্যা করেছেন।

শনিবার সকালে বসতঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তানিয়া আত্মহত্যা করেন। উপজেলার মধ্যেরচর গ্রামে মিলন মীরের মেয়ে তানিয়া।

            তানিয়ার প্রেমিকের নাম মিজানুর রহমান। মিজানের বাড়ি তানিয়াদের গ্রামের পাশে শ্রীনগরে। তার বাবার নাম আবুল কালাম।

তানিয়া ও মিজান দুজনই স্থানীয় সাজেদা আলাল হাসপাতালে চাকরি করার সুবাদে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

     গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তানিয়ার বাড়িতে গিয়ে ধরা পড়েন মিজান। পরে মিজান বিয়ে করতে অস্বীকার করায় রাগে-দুঃখে তানিয়া আত্মহত্যা করেন বলে তার পরিবারের অভিযোগ।

         অাজ শনিবার দুপুরে পুলিশ তানিয়ার লাশ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

    পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তানিয়া লেখাপড়ার পাশাপাশি স্থানীয় সাজেদা আলাল নামে একটি হাসপাতালে নার্সের চাকরি করতেন।

   অপরদিকে মিজানুর রহমান একই হাসপাতালে ফার্মেসিতে চাকরি করতেন। এই সুবাদে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

   গত বৃহস্পতিবার গোপনে গভীর রাতে তানিয়ার বাড়িতে যান মিজান। এ সময় বাড়ির লোকজনের চোখে ঘটনাটি ধরা পড়লে মিজানকে আটক করা হয়।

    পরে শুক্রবার সকালে মিজানের অভিভাবকদের খবর দেয়া হয়। এ সময় তানিয়ার অভিভাবকরা তানিয়াকে বিয়ে করতে মিজানকে চাপ দেন। কিন্তু মিজান তখন তানিয়াকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।

       এদিন এই ঘটনাটি আশপাশের মানুষের মধ্যে জানাজানি হলে তানিয়া লজ্জায় পড়ে যান। এরপর তানিয়ার পরিবারের লোকজন মিজানকে শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালে রেখে আসে।

এদিকে ঘটনার পর প্রতিবেশী লোকজন তানিয়াকে ধিক্কার দিয়ে লজ্জা দিতে থাকে। পরে শনিবার সকালে তানিয়া অভিমান ও লোকলজ্জা সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
তানিয়ার মা শেফালী বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, তাদের প্রেমের বিষয়টি আমরা জানতাম না। গত বৃহস্পতিবার ঘটনার পর আমি চেয়েছিলাম ঘটনাটি মানুষের মধ্যে জানাজানি হয়েছে, তাই মেয়েকে তার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেব।

কিন্তু মিজান ও তার পরিবারের সদস্যরা রাজি না হওয়ায় বিয়ে হয়নি। ঘটনা শুনে প্রতিবেশী কিছু লোকজন আমার মেয়েকে ধিক্কারসহ গালমন্দ করেছে। এই লজ্জায় ও ক্ষোভে আমার মেয়েটা আত্মহত্যা করেছে। আমি ঘটনার বিচার চেয়ে থানায় মামলা করব।

       ভৈরব থানার এসআই মো. আমজাদ হোসেন সযবাদ মাধ্যমকে জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তানিয়ার লাশ থানায় আনা হয় এবং রোববার তার লাশের ময়নাতদন্ত হবে।

তিনি বলেন, তানিয়ার পরিবার চাইলে আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী হিসেবে প্রেমিক মিজানের বিরুদ্ধে মামলা

নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর