জোবায়ের আহমদ,মৌলভীবাজার :
ঘুর্ণিঝড় ফনির কারণে সৃষ্ট বৃষ্টিপাতের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজার জেলার বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। আগামী সোমবার পর্যন্ত সব ধরনের ছুটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মনু ও ধলাই ও কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপদসীমার চার সেন্টিমিটার নিচে থাকবে।
জুড়ী, ফানাই, মনু, ধলাই নদী,কাউয়াদিঘী, হাইল হাওর, হাকালুকি হাওরে পানি বেড়ে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার পাউবোর বিশেষ বার্তায়ও এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে তা যে কোন সময় পরিবর্তশীল হতে পারে।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, জেলার সাতটি উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৩ হাজার ১১৬ হেক্টর। এর মধ্যে আবাদ অর্জিত হয়েছে ৫৩ হাজার ১৬২ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৬ হেক্টর ধান বেশি উৎপাদন হয়েছে। আর চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯ হাজার ১৯৯ টন। তার মধ্যে প্রায় ৮০% ধান কাটা হয়েছে।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে মৌলভীবাজার জেলার সব নাগরিকের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতি, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, প্রয়োজনীয় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত ও উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফণী মোকাবিলায় শুক্র, শনি ও রবিবার পর্যন্ত সবাইকে বিশেষ সতর্ক অবস্থায় থাকার জন্য বলা হয়েছে।