আজ শুক্রবার। ১লা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় বিকাল ৩:২৫

‘মুক্তা পানি’র প্রচারণায় মনিরুজ্জামান রাজিব

‘মুক্তা পানি’র প্রচারণায় মনিরুজ্জামান রাজিব
নিউজ টি শেয়ার করুন..

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান রাজীবের উদ্যোগে ক্যাফেটেরিয়া এবং অন্যান্য সকল দোকানে পাওয়া যাবে দেশের সবচে নিরাপদ ‘মুক্তা’ পানি।

ছাত্রলীগ নেতা রাজীব বলেন, মুক্তা ব্র্যান্ডের পানির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এর উৎপাদন প্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ যুক্ত প্রায় তিনশ’র অধিক প্রতিবন্ধী ভাই বোনেরা। তাদের দ্বারাই পরিচালিত হয় মুক্তা পানির কারখানা। পানির বিক্রয় থেকে যে লাভ হয়, তা সম্পূর্ণভাবে ব্যয় হয় প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে। এই পানির বিশুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন নেই, কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে শুরু করে সরকারী/ আধা-সরকারী/ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে অফিসিয়াল পানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় মুক্তা ব্যান্ডের পানি।

আমাদের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা আর যাই হোক নিজেদের ক্ষতি হয় এমন কিছু করবে না। উনারা যেহেতু এই পানি পান করে সুতরাং মুক্তা ব্র্যান্ডের পানি বিশুদ্ধ ও নিরাপদ। দামেও দারুণ সস্তা। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সুইডিশ কারিগরি সহায়তায় টঙ্গীতে এর কারখানা।

মুক্তা পানির বোতল হিসেবে কিছুটা অপরিচিত লাগতে পারে। সাধারণত রেস্টুরেন্টে, হোটেলে, দোকান এই পানির বোতল দেখা যায় না। দেখা যায় কোকা কোলা ব্র্যান্ডের কিনলে, দেখা যায় মাম, জীবন, একমি। কারণ এই সব ব্র্যান্ডের পিছনে খরচ হয় লক্ষ কোটি টাকার মার্কেটিং, প্রতিটি শহরের মহল্লায় মহল্লায় এদের ডিলাররা পৌঁছে গেছে। দেশীয় ব্র্যান্ডের মুক্তা সেখানে অনেক পিছনে।

এখন কথা হচ্ছে, এই পানি তো সব জায়গায় পাওয়া যায় না। চাইলেও তো কিনতে পারব না। তাহলে উপায় কী?

উপায় আমরা। আমরাই মুক্তা পানির প্রচার করবো। আজ থেকে যখনই পানি কিনতে যাবো, দোকানদারকে বারবার জিজ্ঞাস করবো মুক্তা ব্র্যান্ডের পানি আছে নাকি। রেস্টুরেন্টে কিংবা হোটেলে খেতে বসে বলব, আমাকে মুক্তা ড্রিংকিং ওয়াটার দিন। প্রথম প্রথম তাদের কাছে থাকবে না, স্বাভাবিক, কারণ বিদেশী ব্র্যান্ডের সাথে পাল্লা দিয়ে মুক্তা এখনও বাজারে ঢুকতে পারেনি। কিন্তু কাস্টমারের ক্রমাগত চাহিদাও আগ্রহের ফলে একসময় কিনলে, মামের বোতলের বদলে ওয়াটাররা মুক্তা ব্র্যান্ডের পানি বোতল নিয়ে দৌড়ে আপনার কাছে ছুটে আসতে বাধ্য হবে। আমরা ডিম্যান্ড তৈরি করলে ওরা সাপ্লাই দিতে বাধ্য।

পানি যখন কিনছিই, তখন আমাদের প্রতিবন্ধী ভাই বোনদের তৈরি দেশীয় ব্র্যান্ডের পানিটাই না হয় কিনি। আমরা যখন তৃষ্ণা মিটাচ্ছি, একজন স্বাবলম্বী প্রতিবন্ধীর মুখে তৃপ্ত হাসি ফুটে উঠছে, দৃশ্যটি কতই না মায়াময় ও সুন্দর!

প্রচারে প্রসার। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনের মান উন্নয়নে আপনি, আমি তথা আমরা সকলে মুক্তা পানির প্রচার করি। মুক্তা ড্রিংকিং ওয়াটার এর বিজ্ঞাপন হউক আমাদের প্রতিটি গণমাধ্যমগুলোতেও।

আজ থেকে আমি বাইরের পানি এক বোতল কিনলেও মুক্তা পানি কিনবো। আপনারাও কিনুন।


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর