শরিফুল খান প্লাবন:-
বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ২০০৭ সালের ২৫ শে জুলাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। ইতিমধ্যে খেলে ফেলেছেন এক যুগেরও বেশি । নিঃসন্দেহে একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়ার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
১৯৯৯ থেকে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যতগুলো অর্জন রয়েছে তার মধ্যে নিঃসন্দেহে একটি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি।
২০১৫ সালের অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক করেন মাহমুদুল্লাহ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম শতকের পর পরের ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১২৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এখন পর্যন্ত ওডিআইতে মাহমুদুল্লাহর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস সেটি। তাছাড়া চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তে ইংল্যান্ডের কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই ঐতিহাসিক জয় সাকিবের সঙ্গে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি ও।
নিদাহাস ট্রফির স্মৃতি তো আমাদের সবার চোখে এখনও জ্বলজ্বল করছে।রোমাঞ্চকর জয়ের নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার দেয়া ১৬০ রানের জয়ের টার্গেটে শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ছয় মেরে দলকে ফাইনালে নিয়ে চান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১০ টি ম্যাচ খেলেছে। বিশ্বকাপের রিয়াদের মোট রান ৩৯৭ সর্বোচ্চ ১২৮ অপরাজিত। গড় ৫৬ দশমিক ৭১। সেঞ্চুরি দুইটি ও অর্ধশত একটি। বল হাতে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
বাংলাদেশ দলে আছেন বিশ্বমানের ৫ জন সিনিয়র ক্রিকেটার। মাশরাফি বিন মুর্তজা, শাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে মহানায়ক বনে যেতে পারেন যে কেউ।
ইংলিশ কন্ডিশন এর সঙ্গে সহজেই মানিয়ে নিতে পারেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের নয়নের মনি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তাই বিশ্বকাপের দৃষ্টি থাকবে তার দিকেই।