রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির ‘গণঅনশন’ কর্মসূচিতে বিএনপির নেতারা বলেন , প্যারোলে নয় জামিনে খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় বিএনপি।আইনি প্রক্রিয়ায় বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি চান।
অনশনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন দুই জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের শীর্ষ নেতারাও অংশ নেন।
কর্মসূচি উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপি নেতাকর্মীরা রমনায় জমায়েত হন। তাদের হাতে ছিল দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে লেখা প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন। তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথের কঠোর কর্মসূচি দিতে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কাছে দাবি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, তারা যে কোনো পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার মুক্তি চান। এজন্য আন্দোলন করতে হবে। দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। তাহলেই তার মুক্তি হবে।
জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, আপোষ করে খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্মানজনক হবে না। কারও দয়ায় তার মুক্তি চাই না। মুক্তি তার অধিকার। আর অধিকার বাস্তবায়নের জন্য রাজপথে নামতে হবে। নিজেদের মধ্যে কোন আত্মকলহ করে তার মুক্তি সম্ভব হবে না।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেন, বদ্ধ ঘরে অনশণ নয়, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন গড়ে তুলুন। তবেই তিনি শিগগির মুক্তি পাবেন। তার মুক্তির জন্য সরকারের কাছে দাবি করলে বিএনপির রাজনীতির পতন হবে। কারণ খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র এখন এক হয়ে গেছে।
তাকে প্যারোলে মুক্ত করলে গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটবে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সবাই এক আছে। তাদের সাত দফার প্রথমটিই হচ্ছে- খালেদা জিয়ার মুক্তি। তার মুক্তি হলে ক্ষমতাসীনরা বাইরে থাকতে পারবে না। এ কারণে সহজে তাকে মুক্তি দেবে না। তাই রাজপথে কর্মসূচি দিতে হবে। এতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পাশে থাকবে।