আজ বৃহস্পতিবার। ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় সকাল ৬:২১

যাত্রা শিল্পের নবযাত্রা ৫ টি নতুন যাত্রা প্রযোজনা নিয়ে যাত্রা উৎসব ২০১৯

যাত্রা শিল্পের নবযাত্রা ৫ টি নতুন যাত্রা প্রযোজনা নিয়ে যাত্রা উৎসব ২০১৯
নিউজ টি শেয়ার করুন..

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :

থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এর স্নাতক ২০১৬-১৭ এর পরিবেশনা ঐতিহ্যবাহী যাত্রা
“জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু”
২৬ তারিখ সন্ধা ৭ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এর এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হল এ পরিবেশিত হয়।

রচনা : আমিনুর রহমান সুলতান
নির্দেশক : আল্ জাবির

নাট্যকারের কথা
পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়ন, অর্থনৈতিক শোষণ, শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য, রাজনৈতিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে জাতির পিতা ছিলেন সোচ্চার। তিনিই প্রথম ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদেও ভিত্তিতে বাঙালিকে সংঘবদ্ধ আন্দোলনে যুক্ত করেন। ৭০- এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর পাকিস্তান সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে তালবাহানা করায় ব্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে সংগ্রামী জনতা কে দেশপ্রেমিক ও আত্মত্যাগী হতে প্রেরণা যোগান। ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহওে তাঁর স্বধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে বাঙালি প্রথমে প্রতিরোধ গড়ে, পরে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ করে। বঙ্গবন্ধুর যে নির্দেশ ও নেতৃত্ব তাকে অবলম্বন করেই মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৯৭০ এর নির্বাচনের পর অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দু/তিন দিন পূর্ব পর্যন্ত অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের লায়ালপুরের লারকানা কারাগার কখন মুক্তি পেয়ে, স্বদেশ ফিরে আসবেন এই জল্পনা কল্পনার মধ্যে নাটকের মূল বিষয় নিহিত। শিক্ষার প্রতি বঙ্গবন্ধুর যে দর্শন ও ভাবনা তা ও গুরুত্বের সাথে উপস্থাপন করা হয়েছে নাটকে।
ড.আমিনুর রহমান সুলতান

নির্দেশনা কথন
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধেও চেতনা আর অসাম্প্রদায়ীকতায় বিশ্বাসী প্রজন্ম গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বিপদ আর ষড়যন্ত্রের জাল ওঁৎ পেতে আছে আমাদের চতুর্পাশে। কেননা আজো আমাদের চারপাশে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি সক্রীয়। লাখো শহীদেও রক্তে, হাজারো মা-বোনের সম্ভ্রমে, কোটি মানুষের অমানবিক নির্যাতন নিপিড়ন আর অশ্রুর বিনিময়ে যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে তাকে রক্ষা কওে সমুন্নত রাখতে আমাদের এক থাকতে হবে। রাজাকার, আলবদর, আলশামস সহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যার বাংলাদেশেই হবে নিশ্চয়ই। তবেই হবে কলঙ্কমুক্ত দেশ। বিশ্বাস করি বাংলাদেশকে ভালবেসে জন্মেও ঋণ স্বীকার কওে আগামী প্রজন্ম বাংলাদেশের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধেও চেতনা আর অসাম্প্রদায়ীকতায় বিশ্বাসী হয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে এগিয়ে যাবে, গড়বে সোনার বাংলা।
এই যাত্রাপালায়র সকল কলাকুশলী কেউই পেশাদার শিল্পী নয়। একাডেমিক কার্যক্রমের আওতায় শিক্ষার্থীরা এই প্রযোজনায় অভিনয় করেছে। দেশজ সংস্কৃতির ঐতিহ্যের ধারায় অবগাহন করার নিমিত্তেই এই শিল্পস্নান। ফলে মান বিচারের চেয়ে এই নবীন শিক্ষার্থী শিল্পীদেও প্রয়োজন আপনাদের উৎসাহ ও প্রেরণা, যাতে তারা আগামীর সৃজনশীল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হয়ে উঠতে পারে।

এখানে প্রায় ৬০ জন কলাকুশলী কাজ করেছেন তার মধ্যে মঞ্চে ;

শিক্ষক : আবিদ, ফাইয়াজ; নেতা : হিমেল; ছাত্র : নাঈম, তাসলিমা, তরী, ইসরাফিল; কৃষক : উবায়দুল্লাহ আল ফারাবি, হিমেল, মোর্শেদ; শ্রমিক : রাত্রি, সোহেল; দালাল : রাসেল, সজীব, রিয়াদ; দালালের স্ত্রী : দিৎসা; খয়ের খাঁ : পারভেজ; নর্তকী : রমা, নাফিসা, কচি, হিরা; কমান্ডার : শিহাব, বাশার; রাজাকার : মোস্তাকিম, হাসিব; আলবদর : ডায়মন্ড,শফিক ; প্রতিবেশী : হিরা; মহিলা : নাফিসা; ঐতিহাসিক : দ্বিপু; প্রচারকর্মী : সাদেক; এমপিএ : নাফিজ; তোতা : সোলায়মান; মশু : শুভ; জলিলুর : সুজালো; খলিলুর : ইমরান; হারাধন : শ্যামল; হারাধনের স্ত্রী : নুসরাত।

ফ্লোর ম্যানেজার: ফাইয়াজ আহমেদ, পারভেজ।
সার্বিক সহযোগিতায়: সজিব, উবায়দুল্লাহ, ইমাম মেহেদি শেমল, রিয়াদ, বাশার, শফিক, হিমেল মাহমুদ, নাইম, সোহেল, হুমাইরা কচি, ইসরাফিল,মুস্তাকিম।


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর