আজ শুক্রবার। ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় সকাল ৬:২৭

দোয়ারাবাজারে কাঁঠালের বাজার মূল্য চড়া : আশানুরূপ ফলন না হওয়ায় হতাশ চাষীরা

দোয়ারাবাজারে কাঁঠালের বাজার মূল্য চড়া : আশানুরূপ ফলন না হওয়ায় হতাশ চাষীরা
নিউজ টি শেয়ার করুন..

আশিস রহমান :
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে চড়া মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে মৌসুমী ফল কাঁঠাল। উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের টেংরাটিলা, আলীপুর, আজবপুর, গিরিশ নগর, টিলাগাঁও, মহব্বতপুর গ্রামসহ সীমান্তবর্তী লক্ষীপুর, বোগলা ও বাংলাবাজার ইউনিয়ন কাঁঠাল চাষে বিখ্যাত। প্রতিবছরই এসব এলাকায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কাঁঠালের আশানুরূপ ফলন না হওয়ায় হতাশ উপজেলার কাঁঠালচাষীরা।

ফলন কম হওয়ার দরুন বাজারের কাঁঠালের উপস্থিতিও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কম। চাহিদার তুলনায় বাজারজাত কাঁঠালের পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে কম হওয়ায় এবার চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে কাঁঠাল। স্থানীয় বাজার সমূহে মাঝারি থেকে বড়সাইজের কাঁঠাল প্রতি ৩৫০-৫৫০ টাকা খুচরা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনার অভাবে চাষীদের তুলনায় বেশি লাভবান হচ্ছে পাইকার, দালাল ও মধ্যস্বত্ত্ব ভোগী ব্যবসায়ীরা। কাঁঠাল চাষীরা জানান, এবার কাল বৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে ফলনশীল কাঁঠাল গাছের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অনেক কাঁঠাল অপরিপক্ক অবস্থাতেই ঝরে পড়ে যায়। যেকারণে এবার মৌসুমের শুরুতেই কাঁঠালের উৎপাদন অনেকাংশে কমে গেছে।

উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের টেংরাটিলার কাঁঠালচাষী শের মাহমুদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার বাগানে ফলনশীল ১২২টা কাঁঠাল গাছ আছে। গতবছর প্রায় ৬০ হাজার টাকার কাঁঠাল বিক্রি করি। কিন্তু এবার আশানুরূপ ফলন আসলেও কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে কাঁঠালের উৎপাদন কমে গেছে। অনেক কাঁঠাল গাছ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, কাঁঠাল ঝরে পড়ে গেছে। এবার প্রায় ৪০ হাজার টাকার মতো কাঁঠাল বিক্রি হয়েছে। নাজুক যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে কাঁঠাল বাজারজাত করণে অধিক পরিমাণে পরিবহন ব্যয় গুনতে হচ্ছে।’

আলীপুরের কাঁঠাল ব্যবসায়ী ওসমান মিয়া ও কাজল মিয়া বলেন, ‘গতবছর প্রতিদিন নৌকায় করে বিভিন্ন বাজারে কাঁঠাল বাজারজাত করেছি। বাজারে চাহিদা আছে কিন্তু এবার সেই তুলনায় কাঁঠালই নেই বললেই চলে। অধিক দাম দিয়ে কাঁঠাল পাইকারি ভাবে কিনতে হচ্ছে।’ এব্যাপারে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে দোয়ারাবাজার উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বলেন,’ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির কারণে এবার কাঁঠালের উৎপাদন কম হয়েছে। উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের টেংরাটিলা, টিলাগাও, আলীপুর ও আশাপশের এলাকার মাটি কাঠাল চাষের জন্য বেশ উপযোগী। লাভজনক এ মৌসুমী ফল চাষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সবসময় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকে। দিন দিন উপজেলাব্যাপী কাঠাল চাষের প্রসার ঘটছে। ভবিষ্যতে বানিজ্যিকভাবে কাঠাল চাষের অধিকতর সম্ভাবনা রয়েছে।’


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর