উন্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক বাজার এবং ডিজিটাল বৈষম্যবিহীন টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রণীত জাতীয় টেলিযোগাযোগ নীতিমালার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী বিটিআরসি থেকে আসা নীতিমালার বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দেওয়া হবে। এর পর এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হবে।
জাতীয় টেলিযোগাযোগ নীতিমালায় থাকছে পাঁচটি মূলনীতি :
বাজার : টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো স্থাপন এবং সেবা প্রদান কার্যক্রম উন্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক বাজারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। পাশাপাশি সমন্বিত সামাজিক কল্যাণ সর্বাধিক পর্যায়ে রাখতে সরকার বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
অভিগম্যতা : আধুনিক টেলিযোগাযোগ সেবা সব নাগরিক এবং গোষ্ঠীর জন্য অভিগম্য বা সুগম্য হবে। সার্বজনীন অভিগম্যতা নিশ্চিত করতে এর সব উপাদান, যেমন প্রাপ্যতা, ক্রয়ক্ষমতা এবং ব্যবহারের সক্ষমতাকে অবশ্যই বিবেচনায় আনা হবে। তবে শুধু এ তিনটি ক্ষেত্রেই তা সীমাবদ্ধ থাকবে না।
ব্যবস্থাপনা : সরকার টেলিযোগাযোগ খাতে উচ্চমানের নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিসংক্রান্ত নীতিনির্ধারণ ও সমন্বয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
নিয়ন্ত্রণ : টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রম অবশ্যম্ভাবী, স্বচ্ছ এবং বৈষম্যহীন হবে।
দৃষ্টিভঙ্গি : একটি ডিজিটাল জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি বিনির্মাণের লক্ষ্যে টেলিযোগাযোগভিত্তিক শিল্পকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সুবিধাজনক স্থানে উন্নীত করতে ও অর্জিত সাফল্য ধরে রাখতে সমসাময়িক এবং সফল নতুন প্রযুক্তি, ধারণা ইত্যাদির প্রয়োগ ত্বরান্বিত করা হবে।
ব্যাপ্তিকাল : ধরা হয়েছে ১০ বছর।
২০২৩ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রায় বলা হয়েছে, শতভাগ টেলিঘনত্ব অর্জন, ইন্টারনেটের বিস্তার শতভাগে এবং ব্রডব্যান্ডের বিস্তার ৭০ শতাংশে উন্নীত করা, ৭০ শতাংশ গ্রামে ব্রডব্যান্ড সংযোগ স্থাপন এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে তারবিহীন ব্রডব্যান্ড সেবা নিশ্চিত করা।
২০২৭ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রায় বলা হয়েছে, জনসংখ্যার শতভাগই ব্রডব্যান্ড সেবা পাবে এবং দেশের ১০০ ভাগ গ্রামে ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে।
২০০১ সালের টেলিযোগাযোগ আইন পর্যালোচনা : নীতিমালায় বলা হয়, নতুন টেলিযোগাযোগ নীতিমালার সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ পর্যালোচনা করা হবে। এ প্রসঙ্গে বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক জানান, ২০০১ সালের আইন হালনাগাদ করার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।