আজ সোমবার। ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। ১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় রাত ১১:২৭

বাংলাদেশ থেকে মাসে কয়েকশ নারী শিশু পাচার হয় ভারত পাকিস্তানে

বাংলাদেশ থেকে মাসে কয়েকশ নারী শিশু পাচার হয় ভারত পাকিস্তানে
নিউজ টি শেয়ার করুন..

আপনবাবু,ঢাকা:

বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে কয়েকশ জন নারী ও একশ জন শিশু (০-১৮ বছর বয়সী) ভারত পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যে পাচার হয়।

তবে বাংলাদেশে থেকে যত শিশু মিসিং বা ট্রাফিকিং এর ঘটনা ঘটে তার মাত্র ২৭ শতাংশ দৈনিক পত্রিকায় এবং ১২ শতাংশ টিভি নিউজে দেখা যায়। ভারতের কলকাতা, হায়দারাবাদ ও মুম্বাই ভিত্তিক একটি চক্র বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে তাদের একটি শক্তিশালী পাচারের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। যারা নারী, শিশু ও কিডনি পাচারে সক্রিয়।

এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের প্রদত্ত মানবপাচারের মাসিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৭৮ জন শিশু পাচার হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে ৬০ জন।আজ বুধবার (২১ নভেম্বর) ‘সার্বজনীন শিশু দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘শিশু পাচার প্রতিরোধে সমাজকে শক্তিশালী ও নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি (পিসিটিএসসিএন)’ নামক সংগঠন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করে সংগঠনটির শিশু প্রতিনিধি শারমিন সুলতানা স্বর্ণা তিনি বলেন, নারী ও শিশু পাচারের হুমকির কারণে আমাদের দেশের শিশুরা বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পরিবারের সন্তানেরা ব্যাপক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ভালো বেতনের কাজ দিয়ে তাদের প্রলোভন দেখিয়ে পরিবারের সম্মতি নিয়ে তাদের বয়স বাড়িয়ে পাচার করা হয়।
তারা আরো বলেন, পাচার নিয়ে পৃথিবীতে বিশাল বাণিজ্য রয়েছে যার উদ্দেশ্য থাকে যৌনদাসত্ব, জোরপূর্বক শ্রম, বাধ্যতামূলক শোষণমূলক শ্রম ও অঙ্গ পাচারের মত কার্যকলাপের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন। এটি শিশু অধিকারের সর্বোচ্চ লংঘন বলে বিবেচিত হয়। তারা মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠা, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, মর্যাদা, সব ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।

তবে এ সময় পিসিটিএসসিএন’র পক্ষ থেকে নারী ও শিশু পাচার রোধে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো- সকল ধরনের অধিকার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ। শিশুর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা নিরসনে সরকারি ও বেসরকারি কাজের সমন্বয় ও জোরদার। শিশু অধিকার সনদ ও শিশু আইনের আলোকে শিশুর বিকাশের ও সুরক্ষার সকল পদক্ষেপ গ্রহণ। শিশুদের বিষয়টি সংযুক্ত করে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০২২ বাস্তবায়ন। কর্মপরিকল্পনার তদারকি কার্যক্রম জোরদার করা। শিশু পাচার মোকাবিলায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন করা। এবং সচেতনতা অর্জনে প্রয়োজনীয় প্রচারণা কার্যক্রম ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়কে সমন্বয় করে একটি কাঠামো গড়ে তোলা।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ইন্সিদিন বাংলাদেশ ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম খান, এসইইপি’র সমন্বয়কারী মো জাহিদ হোসেন, সিপিডি’র সমন্বয়কারী শরীফুল্লাহ রিয়াজ সহ প্রমুখ।


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর