সাইফুল ইসলাম : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে গৃহবধূ সুমি হত্যাকান্ডের বিচার ও আসামী গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদে মিছিল করেছে নিহতের আত্মীয়-স্বজন এবং এলাকাবাসী।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খায়েরহাট গ্রামের বুলু গাজীর মেয়ে মোসাঃ সুমি আক্তার (২৬) এর সাথে পার্শ্ববর্তী কাগদী গ্রামের মোতালেব মোল্যার ছেলে ট্রাক ড্রাইভার আবুল কালাম মোল্লার সাথে গত দুই বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তারা ঢাকার আশুলিয়াতে ভাড়ার বাসায় দিনযাপন করেছিলেন। গত ২৭ মার্চ আশুলিয়া নিজ বাসা থেকে সুমি নিখোজঁ হয়ে যায়। তার আত্মীয়-স্বজন তাকে না পেয়ে আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা পরিষদের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
সুমির ভাই সোহেল গাজী ও বোন রুমা জানান,’ সুমির বিয়ের পর থেকেই কারণে অকারণে স্বামী শারিরীক ভাবে নির্যাতন করতেছিলো। তার স্বামী কামাল মোল্যা ও তার আত্মীয়-স্বজনদের সহায়তায় সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা সুমিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে এবং তার পেট কেটে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। সে আগেও কয়েকবার সুমিকে হত্যা করার চেষ্টা করে।
২৯ মার্চ নড়াইলের লোহাগড়ার শিয়েরবর এলাকায় মধুমতি নদীতে অঙ্গাতনামা মহিলার লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী লোহাগড়া থানা পুলিশের স্বরনাপর্ণ হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে জেলা সদরে মর্গে পাঠায়। সেখানে পৌর কবরস্থানে বেওরিশ লাশ হিসাবে তার দাফন হয়। সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যমে (ফেইজবুকে) সুমির আন্তীয়স্বজন লাশের ছবি দেখে লোহাগড়া থানায় গিয়ে সুমির ছবি সনাক্ত করে। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।