কেমন আছেন মালয়েশিয়ার প্রবাসীরা

শরিফুল খান প্লাবন:- জগতে সুখের অনুসন্ধান করে না এমন লোকের সংখ্যা নগণ্য। ক্ষণিকের এই জীবনে একটু প্রশান্তি পাওয়ার আশায় মানুষ কি না করছে? আর্থিক সচ্ছলতার জন্য ছুটছে গ্রাম থেকে শহরে, এক শহর থেকে অন্য শহরে, কখনো বা দেশের সীমানা পেরিয়ে ভিন দেশে। সেই সুখের অভিপ্রায়ে মানুষ ছুটে চলে অজানার টানে। পরিবারের সবার মুখে এক চিলতে হাসি এনে দেওয়ার জন্য যাদের থাকে আপ্রাণ চেষ্টা। জীবন বাস্তবতায় সাধারণত প্রত্যাশিত বস্তুটাই রয়ে যায় অধরায়। সাধ্যের মাঝে সবটুকু সুখকে সঙ্গী করে জীবনের পথচলা, এ যেন এক অন্তিম যাত্রা!

যাঁরা দেশে আছেন, তাঁরা অনেকেই হয়তো জানেনই না যে কত কষ্টে আছেন তাঁর বাবা, ভাই অথবা আত্মীয়রা।

মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরের মালয়েশিয়া প্রবাসী মোঃ জনি শেখ বলেন- পরিবারের সবার মুখে একটু হাসি ফোটাতে দিন রাত কাজ করি। হয়তোবা সবার মনের মত করতে পারিনি। বিশ্বাস করেন আমার চেষ্টার কোন কমতি নেই। কিভাবে বছর যায় বছর আসে বুঝতে পারি না।

জনি আরো বলেন- মালয়েশিয়াতে যাদের ভিসা নেই তাদের কষ্ট দেখলে সত্যিই চোখে পানি চলে আসে। অবৈধ লোক ধরার জন্য মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন পুলিশ সব সময় তৎপর থাকে।

এই কারনে অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এই দুরবস্থার মূল কারণ হলো অশিক্ষা, অদক্ষতা, দূতাবাসের অবহেলা আর আদম ব্যবসায়ীদের প্রতারণা। বর্তমানে কর্মরত শ্রমিকদের অনেকেরই আবার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু ভিসা নবায়ন হচ্ছে না। অনেকের আবার ওয়ার্ক পারমিট নেই। আগে যেখানে কাজ করতেন, সেখানেও ওয়ার্ক পারমিটের অভাবে কাজ করতে পারছেন না। বাঙালি মালিকদের অধীনে কেউ কেউ চাকরি করছেন পার্টটাইমার হিসেবে, তাও চুরি করে। পুলিশের ভয়ে রাতে বাসা ছেড়ে আশ্রয় নিচ্ছেন বিভিন্ন জঙ্গলে।

মালয়েশিয়ার আরএক প্রবাসী আরিফুল ইসলাম বলেন- মালয়েশিয়ার সরকার অবৈধ দের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে। তবে অবৈধদের বৈধ হতে ৬ থেকে ৭ হাজার রিঙ্গিত লাগে। এত টাকা লাগার কারণে অনেক বৈধ হতে পারছে না। আবার অনেকে দেশের থেকে টাকা এনেও দালালদের খপ্পরে পড়ে সর্ব হারা হচ্ছে। আমরা যে খুব বেশি সুখে আছি তা বলা যাবে না।

Leave a Comment