ওভেনে গরম করা খাবার ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়

কাজের প্রয়োজনে প্রতিদিনই আমাদের ঘর থেকে বাইরে যেতে হয়। কাজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যস্ততা। ব্যস্ততার কারণে ছুটির দিন ছাড়া অন্য দিনগুলোতে আমাদের রান্নার কাজ সারতে হিমশিম খেতে হয়। তাই অনেকে পুরো সপ্তাহের রান্না একবারে করে ফ্রিজে রাখেন। পরে তা ওভেন দিয়ে গরম করে খেয়ে থাকেন।

আপনি হয়তো ব্যস্ততা কারণে এমনটি করছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ, পরিবারের সবাই খাচ্চেন মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করা খাবার। কিন্তু এই অভ্যাস ক্যানসার ডেকে আনতে পারে বলে বলছেন চিকিৎসকরা।

একবার রান্না করা খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করা কতটা স্বাস্থ্যকর? এ বিষয়ে গবেষণা চালিয়েছে ‘জার্নাল অব এগ্রিকালচারকাল ফুড অ্যান্ড কেমিস্ট্রি’।

গবেষণায় প্রতিবেদনে একদল গবেষক নিজেদের পরীক্ষার বিস্তারিত প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন।

গবেষণায় বলা হয়, মাইক্রোওয়েভে গরম করা খাবারে ভিটামিন বি১২ ক্রমে অকার্যকর হয়ে পড়ে। প্রতিবার খাবার গরমের সময় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভিটামিন বি১২ নষ্ট হয়।

আরও পড়ুন : পেটে মেদ বাড়ার যত কারণ

এছাড়া দুধ ও মাংসজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২ থাকে।তাই এসব খাবার যদি মাইক্রোওয়েভে গরম করা হয় তবে খাদ্যগুণ নষ্ট হয়।

মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করার বিষয়ে আরও ভয়াবহ তথ্য জানিয়েছেন চিকিৎসক সায়ন্তন মিত্র। তিনি বলেন, মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করার পর কিছু বিষাক্ত রাসায়নিক তৈরি হয়। যেমন বেঞ্জিন, জাইলিন।

তিনি বলেন, এর ফলে ক্যানসারের মতো মারণ রোগকে ডেকে আনতে পারে।এছাড়া প্লাস্টিকের বক্সে খাবার গরম করলে থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক নির্গত হয়।এর ফলে হতে পারে ক্যানসার। তাই মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম না করাই ভালো।

ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটির গবেষণায় দেখা গেছে, হৃদস্পন্দনের গতিরও তারতম্য ঘটে মাইক্রোওয়েভ থেকে নির্গত রেডিয়েশনের কারণে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম, দুধ, মাংস , মাশরুমজাতীয় খাবার গরম করে খাওয়া সবচেয়ে ক্ষতিকর।

ক্যানসার থেকে বাঁচতে কী করবেন?

১. প্রতিদিনের খাবার রান্না প্রতিদিন করুন।

২. খাবার ফ্রিজ থেকে বের করে তাড়াহুড়ো করে মাইক্রোওয়েভে গরম দেবেন না।কিছুক্ষণ বাইরে রেখে উষ্ণতায় নিয়ে আসুন।

৩. খাবার গরম করার সময় গ্যাস ওভেন ব্যবহার করুন।

৪. টোস্টার ওভেনটিকে কাজে লাগাতে পারেন।

তাই মাইক্রোওয়েভ খাবার গরম না করাই উত্তম।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

Leave a Comment