আজিজুল ইসলাম সজীব,হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জের লাখাইয়ে অন্য যুবতীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিককে হত্যা করে তার প্রেমিকা। উজ্জ্বল মিয়া (২২) নামের ওই কলেজছাত্রকে হত্যার পর লাশ গর্ত খুঁড়ে নিজের ঘরেই লুকিয়ে রাখে প্রেমিকা ফারজানা। পরে ফারজানা তার বাবা মঞ্জু মিয়ার সহায়তা লাশ ফেলে আসে পার্শ্ববর্তী বিলে। এ ঘটনায় পুলিশ প্রেমিকা ফারজানা ও তার বাবা মঞ্জু মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধায় সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অ্যাডিশনাল এসপি) রবিউল ইসলাম।
এর আগে সোমবার বিকেল মেদি বিল থেকে উজ্জ্বলের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রবিউল লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক গ্রামের শাহ্ আলমের ছেলে। সে মাধবপুর সৈয়দ সঈদ উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
আটককৃতরা হলো- একই উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের মঞ্জু মিয়া (৫০) ও তার কন্যা ফারজানা (১৭)।
ফারজানার স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অ্যাডিশনাল এসপি) রবিউল ইসলাম জানান, বৃন্দাবন সরকারি কলেজের ছাত্রী ফারজানার সথে ফেসবুকে পরিচয় হয় উজ্জ্বল মিয়ার। সেই সুবাদে তারা দুজনে বিভিন্ন সময় মিলিত হতো। গত ২০ ফেব্রæয়ারি রাতে ফারজানার বাড়িতে যান উজ্জ্বল। সেখানে তাদের মধ্যে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত চলাকালে উজ্জ্বলের মোবাইল ফোনে অপর এক যুবতীর কল যায়। বিষয়টি নিয়ে ফারজানা ক্ষিপ্ত হন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ফারজানা পাথর দিয়ে উজ্জ্বলের মাথায় আঘাত করে। পরে হাতের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে ঘরের ভেতরে গর্ত খুঁড়ে মরদেহটি মাটিচাপা দেয় ফারজানা। ঘটনার ১০-১২ দিন পর ফারজানা ও তার বাবা মঞ্জু মিয়া উজ্জ্বলের মরদেহটি নিয়ে মেদি বিলে ফেলে দেন।
এ ঘটনায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি উজ্জ্বল নিখোঁজ হয়েছে মর্মে তার পরিবারের পক্ষ থেকে লাখাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। সাধারণ ডায়রির ভিত্তিতে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে গত গত ২১ এপ্রিল রাতে ফারজানা ও পিতা মঞ্জু মিয়াকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।