আজ বৃহস্পতিবার। ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় বিকাল ৫:০০

লাল পাহাড়ের দেশ রাঙ্গামাটিতে ‘হালিশহর বাইকার্স’

লাল পাহাড়ের দেশ রাঙ্গামাটিতে ‘হালিশহর বাইকার্স’
নিউজ টি শেয়ার করুন..

জাহিদ হাসান
পাহাড়ের বুক চিরে এ এক অন্য জাতীর বসবাস, বলা হয় এদেরকে ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠি পানি আর পাহাড়ি জীবনের এক অন্যন্য সংগ্রাম তাদের প্রতিনিয়ত তাড়া করে ফেরে।খাদ্য সংগ্রহের জন্যে বেঁচে থাকার জন্য যাদের প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হয়।আর ভারি বর্ষন কিংবা টানা বৃষ্টি হলে ভোগান্তির মাত্রা আরো বেড়ে যায় শুরু পাহাড় ধসের মত যন্ত্রনা । জীবন ও জীবিকার টানে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলছেন চাকমা সম্প্রদায়ের এই মানুষগুলো। ক্ষনিকের জন্য মনে হতেই পারে চিন দেশে পাড়ি জমালাম নাতো,দেহের গড়ন অনেকটা যে তাদের মতই এছাড়াও রয়েছে সৌন্দর্যমন্ডিত ঝর্ণা আর পাহাড়ের বুক চিরে পাহাড়ি মানুষ এযেন এক অন্যরকম শিল্পের ছোঁয়া ।

লেকের সৌন্দর্য ও পাহাড়ি জীবন যেকোনো মানুষকে মুগ্ধ করার পাশাপাশি কিছুটা ব্যথিতও করবে। ভাবতে বাধ্য করবে। বারতি পাওনা হিসেবে পেতে পারেন ঝর্ণা ঝিরিঝিরি শব্দ ঝকঝকে নীল আকাশ কর্ণফুলী নদীর পানি আর সবুজ পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অনুভূতি বলছি লাল পাহাড়ের দেশ রাঙ্গামাটির কথা চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৮৩ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। শহরের যান্তিকতা আর ব্যস্ততাকে বিদায় দিয়ে গিয়েছিলাম লাল পাহাড়ের দেশে।সাথে সঙ্গি হয়েছেন এক ঝাঁক তরুণ তুরকি ‘হালিশহর বাইকার্স’। শহরের অলিগলিতে মোটর সাইকেল নিয়ে তাদের পদচারণা সহসাই দেখা মিলবে। ঘড়ির কাটায় তখন সকাল ৬ টা বন্ধু ইমনের ফোন পেয়ে উঠলাম তার পর রেডি হয়ে রওনা হলাম লাল পাহাড়ের পথে।দূর পাহাড়কে আপন করতে।

যাত্রাপথ


হালিশহর বি -ব্লক থেকে আল্লাহর নাম নিয়ে চললাম ভাটিয়ারি হয়ে হাটাহাজারি রোড দিয়ে রাউজান রাঙ্গুনিয়ার আঁকা বাঁকা পথ বেয়ে আসলাম শালবন পাহাড়ে পথ বেয়ে চলার পথে একটু হারিয়ে যেতে ইচ্ছা করবে। কিন্তু হারিয়ে গেলে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে না এই ভেবে চললাম রাঙামাটির উদ্দেশ্যে। যাওয়ার পথে ভালো লাগার মত কিছু থাকলে তা ছিলো আঁকা বাঁকা পথে রাস্তায় দেওয়া গ্লাস গুলো যা একপাশ থেকে অন্য পাশের গাড়িগুলোর গতিবেগ বুঝতে সাহায্য করেছে ।

অবশেষে থামলাম শান্তি নগর ফিসারিঘাটে এসে একটুকরো শান্তির পরস হাজির হলো ।শস্তি নিয়ে কিছুটা বিরতি নিলাম।বিরতি পর আবার যাত্রাশুরু পথ যে এখনো বাকি কারণ গন্তব্য আমাদের রাঙামাটির সুবলং ঝরনার দিকে মূল সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার। বোটে করে চললাম ঝর্ণার জলে গাঁ ভেজাতে । ঘুরা শেষে ভোজন রসিকদের খাওয়া দাওয়ায় কাটল একটি দিন।কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা ছাড়া সবই ছিল অসাধারণ।
সব তিক্ততা ভুলে সেদিনই ফিরে এলাম শহরের বুকে।


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর

No Content Available