আজ বৃহস্পতিবার। ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় বিকাল ৪:২৭

পরিবহণ সংকটে দূর্ভোগে হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

পরিবহণ সংকটে দূর্ভোগে হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
নিউজ টি শেয়ার করুন..

আজিজুর রহমান,হাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) পরিবহন সংকটে শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী প্রতিদিন দাঁড়িয়ে অথবা বাদুঁর ঝুলা হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করেন।এতে ক্লাস-পরীক্ষায় সময়মত অংশ নিতে গিয়ে সমস্যায় সম্মুখীন হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

এদিকে বহিরাগত গাড়ি/অটো গুলোতে যাতায়াতের সময় ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে অনেকে হারাচ্ছে সর্বস্ব। এছাড়া যে কোন সময় বড় দুর্ঘটনার আংশকা রয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।এতো সংকট থাকলেও তা সমাধানে তেমন কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন,অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রে জানা যায়,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা বর্তমানে ১১ হাজারও অধিক। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত হল না থাকায় এসব শিক্ষার্থীদের সিংহভাগই অবস্থান করেন দিনাজপুর শহর ও আশপাশের এলাকায়।দিনাজপুর শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার হওয়ায় প্রতিদিন বাসে করে এসব শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যাওয়া আসা করতে হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯৩ জন শিক্ষক,১১ হাজার শিক্ষার্থী ও ৫৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে।অধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীর-কর্মকর্তার জন্য বাস রয়েছে মাত্র ১৮টি।এর মধ্যে ৫ টি বাস শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দ। দীর্ঘদিন থেকে ১টি বাস অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে এবং ১টি বাস সাময়িক চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে তীব্র ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। বিশেষ করে ছাত্রীরা পড়ছেন বেশি সমস্যায়।

বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী মোঃ রিফাত ভূইয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,সঠিক পরিকল্পনা থাকলে সীমিত সম্পদ দিয়েই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিরসন করা সম্ভব। প্রতি সিডিউলে আমাদের বাসের সংখ্যা বাড়ানো উচিৎ অথবা সিডিউলে সময় ব্যবধান আরো কমানো উচিৎ।আশা করি সীমিত সম্পদ দিয়েই আমরা পাবো একটি সুশৃঙ্খল যাতায়াত ব্যবস্থা।

সামাজিক বিজ্ঞান ও কলা অনুষদের শিক্ষার্থী প্রাপ্তি দেববর্মা বলেন,হলে সিট পেতে সমস্যা,তা ব্যতীত বাসের সংকট,কতটা দুর্ভোগ পোহাতে হয় তা আমরা যেসব মেয়েরা শহরে থাকি তারাই শুধু জানি।দীর্ঘ সময় বাসের জন্য অপেক্ষা করার পরও বাসে জায়গা না থাকায় বাস চলে যায়।তখন বাধ্য হয়েই অটোতে যেতে হয়।অটোগুলোও চলে বেপরোয়াভাবে,যেখানে সর্বদা দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়!সন্ধ্যার সময় তো আবার ছিনতাই এর দুশ্চিন্তা।বাসে উঠতেও হয় প্রায় লড়াই করে,যেটা মেয়েদের জন্য কষ্টকর,বিরক্তিকর আর আপত্তিজনক।কতদিন আর এই দুর্গতি?আমরা এই সমস্যার দ্রুত ও সুষ্ঠু সমাধান চাই।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে নিরাপত্তাটুকু তো চাইতেই পারি!

ট্রাসপোর্ট কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড.মো.মফিজুল ইসলাম বলেন,শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বাস বাড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।এরিমধ্যে ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ১৩ টি বাসের মধ্যে সচল আছে ১২ টি। বাকি ১ টির মেরামত করতে দেয়া হয়েছে।আর আগামী তিনমাসের মধ্যে ১টি বাস আসবে এবং আগামী বাজেটে নতুন ২টি বাস ক্রয় করার সিদ্বান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন কোন রুটে শিক্ষার্থীদের বাস চলবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,শহর রুটে চাহিদা পূরণ হলেই নতুন রুটে পরিবহন চলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।আশা করছি অতি দ্রুত শিক্ষার্থীদের পরিবহন সমস্যার সমাধান হবে।


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর