ইবি সংবাদদাতা :
সরকারী কর্মব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি সংক্রান্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সভাকক্ষে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা যায়, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান-এর সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন উর রশিদ আসকারী এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম তোহা উপস্থিত ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস. এম. আব্দুল লতিফ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। সভায় উপ-রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) ও এপিএ ফোকাল পয়েন্ট মোঃ নওয়াব আলী খান চুক্তি সংক্রান্ত নির্দেশনা উপস্থাপন এবং সভাটি সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠিনে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ সরওয়ার মুর্শেদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহা, লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জুলফিকার হোসেন, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুস শাহীদ মিয়া, এবং বিশ্ববিদ্যালয় ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি)’র পরিচালক অধ্যাপক ড. কে এম আব্দুস ছোবহান।
এছাড়াও সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ, সভাপতিবৃন্দ, হল প্রভোস্টবৃন্দ এবং অফিস প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, আমাদের দক্ষ শিক্ষক-শিক্ষার্থী রয়েছেন। এর মাঝে সুন্দর ব্যবস্থাপনা রুপরেখা দরকার। বিভাগ, হল, দপ্তরগুলো এক বছরে কী কী করবে তা উল্লেখ করে আমাদের সঙ্গে চুক্তি করবে এবং বছরশেষে সেগুলোর মূল্যায়ন হবে। আমাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের লক্ষ্য রুপকল্প-২০২১ আর আমাদের লক্ষ্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিকীকরণ। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো হবে না, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই একটি মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হবে। এমন আন্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের প্রেজেন্টেশন স্কিল বৃদ্ধির উপরে ভাইস চ্যান্সেলর গুরুত্বারোপ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, আমরা যে যে জায়গায় আছি সে জায়গায় কাজটা ঠিকমতো করার কমিটমেন্ট আমাদের থাকতে হবে। স্ব-স্ব অবস্থানে আমরা যদি দায়িত্বশীল থাকি তাহলে কোন ক্ষেত্রেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আর পিছিয়ে থাকবে না। আমরা যেন কাজ ফাঁকি না দিই, এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম তোহা বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, রাষ্ট্র আমাদেরকে অর্থ দিচ্ছে কিন্তু বিনিময়ে আমরা কী দিচ্ছি সে বিষয়ে নিজেকে পরীক্ষায় নেবার সুযোগ আমাদের এসেছে। লীডারশীপ এবং টীমওয়ার্ক-এর সুন্দর সমন্বয়েই কেবল সফলতা সম্ভব। আমরা সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছি।