নানা কারণে সবারই কোনো না কোনো সময় রাগ হতে পারে। এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু যারা সামান্য কারণেই রেগে গিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করেন, ঘন ঘন রেগে ওঠেন, তাদেরই বেশি সমস্যা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত রাগের কারণে হৃৎপিণ্ডের ক্ষতি হয়, রক্তে ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ে। এছাড়া রাগের বহিঃপ্রকাশ তীব্র হলে মাইগ্রেন-সহ অন্যান্য মাথা ব্যথার প্রকোপ বাড়ে, হজম ক্ষমতা কমতে শুরু করে, থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্ষমতা কমে যায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে, চোখের প্রেশার বেড়ে গিয়ে দৃষ্টি শক্তি কমতে শুরু করে।
এ কারণে রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। ঘন ঘন রাগ হলে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১. রাগ হলে চিৎকার-চেঁচামেচি না করে জায়গা পরিবর্তন করুন বা সেই জায়গা থেকে অন্যদিকে চলে যান।
২. ধীরেসুস্থে একগ্লাস ঠাণ্ডা পানি পান করুন।
৩. যে কারণে আপনার রাগ হয়েছে সেটা মাথা থেকে বের করার জন্য অফিস বা বাড়িতে অন্য কারো সঙ্গে নতুন বিষয় নিয়ে কথা বলুন। রাগের কারণ মাথায় বারবার ঘুরপাক খেলেও সেটা পাত্তা দেবেন না।
৪. কথা বলার মতো কেউ না থাকলে জানালার দিকে তাকিয়ে ভাল কোনও ঘটনার কথা মনে করার চেষ্টা করুন।এতে সাময়িক ভাবে মন শান্ত হবে।
৫. রাগের কারণ যদি কোনোভাবেই ভুলতে না পারেন তাহলে যার উপর রাগ করেছেন তাকে ক্ষমা করে দিন। মনে করুন যার উপর রাগ হয়েছে তার থেকে আপনি অনেক উচ্চ মানের। তাই রাগ করে নিজের শরীর, মন ও কাজের ক্ষতি করার কোনও মানে হয় না। ৬. যার উপর রাগ করেছেন তাকে একটা বড়সড় চিঠি বা মেইল লিখুন। প্রাণ ভরে অপমানজনক কথা সেখানে লিখতে পারেন। তবে সেটা না পাঠিয়ে সেফ করে রাখুন। রাগ কমে গেলে ডিলিট করে ফেলুন।
৭. ঘন ঘন কারণে-অকারণে রাগ হলে নিয়মিত মেডিটেশন করুন।