সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাওয়া ১৭ জনের বিরুদ্ধে সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত ১৭ জনের নাম : তারা হলেন- সহ-সভাপতি তানজিল ভুইয়া তানভীর, সুরঞ্জন ঘোষ, আারফিন সিদ্দিক সুজন, আতিকুর রহমান খান, বরকত হাওলাদার, শাহরিয়ার বিদ্যুৎ, মাহমুদুল হাসান তুষার, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, তৌফিকুল হাসান সাগর, সাদিক খান, সোহানী হাসান তিথি, মুনমুন নাহার বৈশাখী, দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবীব, উপ সম্পাদক রুশি চৌধুরী, আফরিন লাবনী।
এ বিষয়ে শাহরিয়ার কবীর বিদ্যুতের জানান, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পরে যে অনাকাঙ্খিত ঘটনাগুলো ঘটেছে তা সত্যিই দুঃখজনক। আর আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যাচার । আমি কারো ব্যাক্তিগত রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার। আমি আশা করব বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আমার বিষয়টা আমলে নিয়ে সাম্প্রতিক অনাকাঙ্খিত ঘটনাসমূহের একটা সুষ্ঠু সমাধান করবেন।আমাকে রাজনৈতিকভাবে ছোট করার জন্য অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।আসুন কাগজ কলম নিয়া হিসাবে বসি।কে কতদিন,কতটুকু রাজনীতি করেছেন।আপনার পাল্লার ওজন বেশি হলে রাজনীতিই ছেড়ে দিব।
জানা যায়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। তার বিশ্ববিদ্যালয় এবং এলাকায় খোঁজ নিয়ে তার বিরুদ্ধে কোথাও মাদক সংশ্লিষ্টতা কিংবা কোনো মামলা পাওয়া যায়নি। বিদ্যুতের পরিবারও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার পিতা মুহম্মদ হোসাইন ফরিদপুর জেলার মধুখালীর জাহাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। তার আপন বড় ভাই ইশতিয়াক আহমেদ শিমুল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সহ-সম্পাদক । ছাত্রলীগ নেতা বিদ্যুতের নানা শহীদ আজমল হোসেন, ( ইপিআর সদস্য,যশোরে যুদ্ধরত অবস্হায় শহীদ হন)। শাহরিয়ার কবীর বিদ্যুৎ এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
