সকল জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ঘটিত হল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি। আজ মঙ্গলবার ( ১৩ মে) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি প্রকাশিত হওয়ার পর পরই শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। অনেকে দাবি করেন পূর্নাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাওয়া অনেকে বিবাহিত । অনেকে বলছেন, কমিটিতে স্থান পাওয়া অনেকেই যোগ্যতা অনুযায়ী পদ পাননি। বর্তমান কমিটি নিয়ে চলছে সারা দেশে সমালোচনার জড়। ছাত্রলীগের সাবেক নেতা থেকে শুরু করে সবাই ছাত্রলীগ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করছেন ।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আব্দুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাচাই বাছাই করে সমঝোতার ভিত্তিতে একটি বিতর্কহীন কমিটি উপহার দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন।
কিন্তু দেখা গেছে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন বিবাহিত, মাদক ব্যবসায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত, বিতর্কিত নারী নেত্রী থেকে শুরু করে বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সন্তানেরা।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা বলেছেন, ছাত্রলীগকে আবারো ধ্বংস করে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে ইন্ধন দিয়েছেন এমপি এবং মন্ত্রিত্ব হরানো দলের দুইজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তারা ইচ্ছে করেই এমনটা করেছেন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা।
তারা জানান , ছাত্রলীগকে দুর্বল করতে পারলেই একসময় আওয়ামী লীগ দুর্বল হয়ে যাবে। এটা বিশ্বাস করেন বলেই তারা (নানক-রহমান) শোভন-রাব্বানীকে দিয়ে এমন একটি কমিটি দিয়ে আবারো সমালোচনায় ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ছাত্রলীগকে। ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গিয়ে তারা নিজেদের এমপিত্ব কেড়ে নেয়ার নির্মম প্রতিশোধ নিয়েছেন বলেও মনে করেন অনেকে। বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা জানাবেন বলেও জানা গেছে।
এসব বিষয়ে জানার জন্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আব্দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে ,যোগাযোগ করা যায়নি।
উল্লেখ্য,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এই দুইজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যখন ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছিলেন তখনও তারা ব্যর্থ ছিলেন।