জোবায়ের আহমদ,মৌলভীবাজার :
শ্রীমঙ্গল পৌরসভা কলেজ রোড এলাকায় পৌরসভার প্রায় এক একর পতিত জমি রয়েছে। শহরের সব ময়লা-আর্বজনা পৌরসভার পরিছন্ন কর্মীরা প্রতিদিনই এখানে ফেলছে।
প্রতিদিনের ময়লা-আর্বজনা ফেলার কারণে এই জায়গায় গড়ে উঠেছে বিশাল আর্বজনার স্তূপ। সেই স্তূপ থেকে আসা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দারা।
আর সেই ময়লার দুর্গন্ধে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ নানাবিধ সমস্যায় আছে শিক্ষার্থী-পথচারী।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে থেকে ভাগাড় অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন সময় মানববন্ধন করলে ও তার ফলাফল কিছুই পায়নি এলাকাবাসীসহ স্হানীয় স্কুল এবং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
২৭শে এপ্রিল শনিবার সকালে এলাকাবাসী এবং ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ময়লার ভাগাড়ে নামলেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। ফেসবুক লাইভে এর প্রতিবাদ করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ সময় তিনি এমপি বা মেয়রের ছেলে-মেয়েরা ঢাকা বা বিদেশে পড়ে, তাই তাদের এসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে দরদ নেই বলেও মন্তব্য করেন।
জানাযায়, শ্রীমঙ্গল পৌরসভা কলেজ রোড এলাকায় পৌরসভার প্রায় এক একর পতিত জমি রয়েছে। শহরের সব ময়লা-আর্বজনা পৌরসভার পরিছন্ন কর্মীরা প্রতিদিনই এখানে ফেলছে। প্রতিদিনের ময়লা-আর্বজনা ফেলার কারণে এই জায়গায় গড়ে উঠেছে বিশাল আর্বজনার স্তূপ। সেই স্তূপ থেকে আসা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দারা।
শ্রীমঙ্গল পৌরসভা কলেজ রোড এলাকায় তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে,শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ,দি বার্ডস রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদরাসা।
শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের ছাত্র নোমান আহমেদ বলেন, ময়লার প্রচণ্ড দুর্গন্ধে স্কুল-কলেজে যাতায়াত করা কষ্টকর। ময়লার গন্ধে ক্লাস করতে অসুবিধা হয়। অনেক সময় ক্লাসে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
ভাগাড়ের আশপাশের বাসিন্দারা বলেন, ‘জোরে বাতাস হলে ঘরের ভেতর পর্যন্ত গন্ধ ঢুকে যায়। তখন দম নেয়া যায় না। কিন্তু কিছু করার নাই ঘরবাড়ি ছেড়ে তো যাওয়া যায় না।
শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল মালেক বলেন, ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধের জন্য শিক্ষার্থীদের ক্লাসে অসুবিধা হচ্ছে। গন্ধের কারণে পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের জটিলতা সৃষ্টি হয়। অনেকে ক্লাসে আসা কমিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মহসীন মিয়া মধু মিয়া বলেন, ময়লা ফেলার স্থানটি সরিয়ে নেয়ার জন্য নতুন জায়গা ঠিক করা হয়েছে। ২০১২ সালে হাওরে নতুন আরেকটি জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। বর্তমানে জায়গাটি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আইনি জটিলতা কেটে গেলে দ্রুত এই ভাগাড় সরিয়ে নেয়া হবে।
