আজ শুক্রবার। ১লা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় বিকাল ৪:২৭

শেষ পর্যন্ত প্যারোলের পথেই হাটছেন জিয়া পরিবার

শেষ পর্যন্ত প্যারোলের পথেই হাটছেন জিয়া পরিবার
নিউজ টি শেয়ার করুন..

সদরুল অাইন :

                     শেষ পর্যন্ত প্যারোল চাইবেন বেগম খালেদা জিয়া। প্যারোল সংক্রান্ত একটি চিঠি বেগম জিয়ার ছোটভাই শামীম ইস্কান্দার চূড়ান্ত করেছেন।

            আজ-কালের মধ্যে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এই আবেদনটি বেগম জিয়ার স্বাক্ষরের জন্য যাবে। তবে শামীম ইস্কান্দারের আইনজীবী বলেছেন, প্যারোলের আবেদনে বেগম জিয়াকেই সাক্ষর করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। 

      তাঁর পরিবারের যেকোনো সদস্য এবং মনোনীত আইনজীবীই প্যারোলের আবেদন করতে পারেন।

                    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও বলেছেন, বেগম জিয়ার বৈধ প্রতিনিধি তাঁর পক্ষে প্যারোলের আবেদন করতে পারবেন। তবে বেগম জিয়া চাইছেন, তিনি নিজেই যেন এই আবেদন করেন।

                যেহেতু এক সপ্তাহ আগেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, বেগম জিয়া প্যারোলের আবেদন করবেন না, তাই এখন বেগম জিয়ার পক্ষে অন্য কেউ প্যারোল চাইলে বিভ্রান্তি হতে পারে।

     অবশ্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আমরা বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়টিকে রাজনৈতিক দরকষাকষির ইস্যু করতে চাইনি। এ কারণেই প্যারোলের ব্যাপারে আমরা আপত্তি করেছি।‘

       তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়াকে চাইলেই সরকার জামিন দিতে পারে। কিন্তু সেটা দিচ্ছে না। প্যারোলের বিষয়ে একটা রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি রয়েছে। এজন্যই আমরা প্যারোলের বিরোধিতা করেছি।‘ 

   বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরাও মনে করেন যে, ‘প্যারোলে’র ব্যাপারে সরকারের উৎসাহের কারণ ‘রাজনৈতিক।’ বেগম জিয়ার রাজনৈতিক ইমেজকে নষ্ট করতে এবং তাঁর আপোষহীন ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতেই প্যারোলের কথা বলা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সরকার প্রমাণ করতে চায়, বেগম জিয়া অনুকম্পা চেয়েছেন। 

    কিন্তু তারপরও প্যারোলের বিকল্প নেই বলেই মনে করছেন বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেগম জিয়ার একজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বলেছেন,‘আমরা বুঝতে পারছি যে, আমাদের সামনে আর কোন বিকল্প নেই। সরকার না চাইলে বেগম জিয়াকে জামিনে মুক্ত করা সম্ভব নয়। আর বিএনপির এরকম শক্তি নেই যে আন্দোলনের মাধ্যমে তারা বেগম জিয়াকে মুক্ত করবেন।’ 

                  তিনি বলেন,‘বেগম জিয়া শারিরীক এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আমরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বুঝতে পেরেছি যে, তাকে বাঁচানোর একটাই পথ, তাকে মুক্ত করে নিবিড় চিকিৎসা।’ তার মতে,‘ এখন আমাদের সামনে কোন রাজনীতি নেই। আমাদের সামনে একটিই বিষয় বেগম জিয়ার চিকিৎসা। এজন্য যা করা দরকার সেটাই আমরা করছি।’

     সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্যারোল আবেদনের যে খসড়াটি বেগম জিয়ার কাছে যাচ্ছে, তাতে কোন শর্তের কথা বলা নেই। সাত লাইনের এই চিঠিতে বলা হয়েছে যে, বেগম জিয়া দুটি মামলায় দণ্ডিত এবং বেশকিছু মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করা হয়েছে।

    তিনি গুরুতর অসুস্থ এবং তার দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রয়োজন। এই চিকিৎসা কারাগারে সম্ভব নয়, বিশেষায়িত হাসপাতাল অথবা বিদেশে তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। এজন্য তাকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হোক।’

বেগম জিয়ার পরিবার চাইছে, রোজার আগেই যেন প্যারোল পান তিনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা বলেছেন,‘আমরা এখনো বেগম জিয়ার প্যারোলের কোন আবেদন পাইনি। আবেদন পেলে এ বিষয়ে আমাদের মতামত জানাবো।’


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর