অ্যাপ ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং-এর ৯৯ ভাগই সড়কে শৃঙ্খলা মানে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন-এর পক্ষ থেকে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মার্চ ২০১৯ মাসে সংগঠনের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা রাজধানী ঢাকায় পরিচালিত ৩২৫টি অ্যাপ ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং-এর চালকের গতিবিধি, ভাড়া আদায়, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা, নিয়ম শৃঙ্খলা মানার প্রবণতা ও চারিত্রিক দিক নিয়ে জরিপ পরিচালনা করা হয়। সেখানেই এসব চিত্র উঠে এসেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে অ্যাপ ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং-এর নিবন্ধিত বাইকের পরিমাণ প্রায় ২ লক্ষের উপর। তাছাড়া প্রতিদিনই নতুন নতুন চালক নিবন্ধিত হচ্ছে। এসকল চালকের ১০০ ভাগই ভাড়াটিয়া হিসেবে রাজধানীতে বসবাস করে। এদের ঠিকানার ক্ষেত্রে বেশিরভাগই গড়মিল রয়েছে। এসকল চালকের ৫৫ শতাংশ পেশা হিসেবে নিয়েছে। বাকী ৪৫ শতাংশ বিভিন্ন পেশার সাথে যুক্ত থাকায় অতিরিক্ত সময় বা অফিসে যাওয়া আসার সময় ট্রিট মেরে থাকে।
আরো জানানো হয়, রাইট শেয়ারিং কোম্পানী গুলো শুধু নিবন্ধন করায় নিজস্ব ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা তাদের নেই। ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে ৮৫ ভাগ চালকের। ইন্সুরেন্স নাই ২৫ ভাগ চালকের। সড়কের শৃঙ্খলা মানেনা ৯৯ ভাগ শতাংশ চালক। আইন সম্পর্কে ধারনা নেই ৮০ শতাংশ চালকের।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে প্রায় ৮৫ শতাংশ চালক। ট্রাফিক সিগন্যাল মানেনা ৭৫ শতাংশ চালক। উল্টো পথে চলে প্রায় ১৫ শতাংশ চালক। ফুটপাতের উপর দিয়ে চলাচল করে ৫ শতাংশ চালক।
বেপরোয়া গতিতে চলে (ফ্লাইওভারের উপর) ৯০ শতাংশ, সড়কে চলে ৮০ শতাংশ। রাজধানীতে এ মুহুর্তে যানজটের প্রধান কারণ অ্যাপ ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং এর চালকদের নিয়ম না মানায় ২৫ শতাংশ। সড়ক দুর্ঘটনা ঘটাতেও এরা অগ্রকামী। উগ্র চরিত্রের চালকের সংখ্যা প্রায় ৬০ শতাংশ। ধুমপায়ী চালকের পরিমাণ ৭৫ শতাংশ। মানুষিক ও শারিরীকভাবে আনফিট প্রায় ৩৫ শতাংশ চালক বলেও জানানো হয়।