আজ শনিবার। ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় সকাল ১০:০০

সাংবাদিকরা কমনসেন্স নেই : ঢাবি ছাত্রলীগ সম্পাদক

সাংবাদিকরা কমনসেন্স নেই : ঢাবি ছাত্রলীগ সম্পাদক
নিউজ টি শেয়ার করুন..

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে ছয় দফা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের সেই অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

মঙ্গলবার ( জুন) দুপুরে ছাত্রলীগ আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সংঘটিত ঘটনার প্রতিবাদ হিসেবে পদক্ষেপ নেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

উপস্থিত সাংবাদিক ছাত্রলীগ নেতারা জানান, ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকত যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন ডিবিসি নিউজ সময় টিভিসহ কয়েকজন ক্যামেরাপার্সন সামনে গিয়ে ফুটেজ নিতে চান। সেসময় সৈকত রেগে যান ক্ষিপ্ত হয়েসাংবাদিক উদ্দেশে নানা ধরনের অসৌজন্যমূলক কথা বলেন। এসময় তার অনুসারীরাও হট্টগোল করেন। পরে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা সেখান থেকে বের হয়ে যান।

ঘটনার সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে প্রবেশ করেন আলোচনা সভার প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য . মো. আব্দুর রাজ্জাক।

এরপর বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম সাধারণ সম্পাদক ইনান। তবে গণমাধ্যমকর্মীরা আর সেখানে উপস্থিত হননি বলে জানা যায়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক সাংবাদিক  বলেন, ‘বক্তব্যকালে হঠাৎ ঢাবি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সৈকত বলে ওঠেন, সাংবাদিকরা ম্যানার জানে না, নিয়মকানুন জানে না, তাদের শিখতে হবে। এছাড়া নানান কথা বলতে থাকেন। আমাদের সঙ্গে খুবই অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। পরে আমরা তাৎক্ষণিক তাদের অনুষ্ঠান বয়কট করি। এরপর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম ইনান দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তবে আমরা তাদের অনুষ্ঠানে আর অংশগ্রহণ করিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকত গণমাধ্যমকর্মীদের অপমান করলে তারা অনুষ্ঠান বয়কট করে চলে যান। ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম সাংবাদিকদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।

বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকত বলেন, আমি যখন বক্তব্য দিচ্ছিলাম তখন কয়েকজন সাংবাদিক আমার সামনে দাঁড়িয়ে অডিয়েন্সের ভিডিও করছিলেন। এর ফলে আমাকে অডিয়েন্স দেখতে পারছিল না, আমিও তাদের দেখতে পাচ্ছিলাম না। আমি কয়েকবার তাদের সরে যেতে বলি কিন্তু তারা শোনেননি। পরে আমি বলেছি সবার

থাকা দরকার, কোথায় দাঁড়াতে হবে, কোথায় দাঁড়াতে হবে না এটা জানতে হবে। এটা বলে আমি কোনো অপরাধ করিনি।


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর