আজ বৃহস্পতিবার। ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় রাত ১১:২০

শুভ জন্মদিন আমাদের দ্যা লায়ন অব কিং শেখ হাসিনা

শুভ জন্মদিন আমাদের দ্যা লায়ন অব কিং শেখ হাসিনা
নিউজ টি শেয়ার করুন..

ঘোর অমাবস্যায় ঢাকা আগস্ট। বাঙালি জাতীয় জীবনে অত্যন্ত বেদনাবিদুর, অশ্রু ঝরানো, শোকাবহ মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতি হারিয়েছে তার অমূল্য রতন,ইতিহাস পেয়েছে তার কালো ক্যানভাস। বাংলার জনপদে নিরলস পদচিহ্ন ফেলে যিনি বাঙালি জাতিসত্তাকে মুক্তির মোহনায় উপনীত করেছিলেন, জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়টুকু বাঙালির অধিকার আদায়ের কথা বলতে গিয়ে কারান্তরীণ হয়ে কাটিয়েছিলেন, যার তর্জনী হেলনে নিরস্ত্র বাঙালি হয়ে ওঠেছিল সশস্ত্র সংগ্রামী ও গেরিলা যোদ্ধা, এনেছিল স্বাধীনতার লাল সূর্য।

একদিকে সব হারানোর বেদনা, অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকি- এমন এক অমানিশার সময়ে তিনি ফিরেছিলেন বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। মৃত্যু তার পিছু সারাক্ষণ, তারপর অবিরাম পথচলা বাংলার পথে-প্রান্তরে। বার বার তাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু শেষপর্যন্ত এখনও বাঙালির ভাগ্যবিধাতা তিনি। আজ বাংলাদেশকে এই পর্যায়ে আনতে তিনি সক্ষম হয়েছেন, যেটা ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। শত বাঁধা উপেক্ষা করে সোনার বাংলার সোনালী বীজ যিনি বপন করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।তিনি শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ছিনতাইকৃত গৌরব ফিরিয়ে দেওয়ার মহাসমরে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। পঁচাত্তরের রক্তপাতের পর দুই যুগের ভয়ংকর যে স্বদেশভূমি, তারই বিপরীতে বাঙালির রাষ্ট্রকে আজকের বাস্তবতায় ফিরিয়ে আনার যে সাহসী নেতৃত্ব- তার সর্বাধিনায়কের নাম শেখ হাসিনা। সামাজিক ও অর্থনৈতিক যুদ্ধের পাশাপাশি একটি বড় রাজনৈতিক যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারের ইতিহাস রচনায় অবধারিতভাবেই শেখ হাসিনার রাজনীতি মঞ্চে আরোহনের সময়টি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিদেশের মাটিতে প্রায় ছয় বছর নির্বাসন শেষে দেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে। বঙ্গবন্ধু কন্যার সেই দেশে ফেরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক জীবনে নতুন যুগের সূচনা করে।

বিপদসংকুল পথে এগিয়ে যাওয়ার এই যে সাহস, এই যে দৃঢ়তা- তার সবটাই দেখাতে পেরেছেন বঙ্গবন্ধুর এ জ্যেষ্ঠ কন্যা। মৃত্যুকে তুচ্ছ করে তিনি তার অভীষ্ঠ দায়িত্ব সম্পাদন করেছেন; ঘাতকদের বারংবারের আক্রমণেও পিছিয়ে আসেননি, পথভ্রষ্ঠ হননি; হলে লুণ্ঠিত গৌরব ফিরে পাওয়া সহজ হতোনা বাংলাদেশের।

আমাদের মনে রাখা উচিত যে, জয়বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু কেবল কণ্ঠে ধারণ করার স্লোগান নয়, একে ধারণ করতে হবে আত্মায় ও হৃদয়ে, এ না হলে বাংলাদেশ অরক্ষিত হবে, ভালো-মন্দ, শুভ ও অশুভ একাকার হবে,যা হবে জাতীয় বিপর্যয়।

লেখক : শফিক আহমেদ ভুইয়া ,গণমাধ্যমকর্মী


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর