আজ শুক্রবার। ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় রাত ১০:২৭

নগ্ন করে ভিডিও ধারণ ছাত্রলীগ নেত্রীর

নগ্ন করে ভিডিও ধারণ ছাত্রলীগ নেত্রীর
নিউজ টি শেয়ার করুন..

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের এক ছাত্রীকে নগ্ন করে ভিডিও ধারণ ও নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার রাত ১১টা থেকে শেষ রাত ৩টা পর্যন্ত দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ওই শিক্ষার্থীকে চড় থাপ্পড়, চুল ধরে টানা, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং নগ্ন করে ভিডিও ধারণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগী তাবাসসুম। ভিকটিম মারার কারণ জানতে চাইলে তার মুখ চেপে ধরা হয়। এরপর ময়লা গ্লাস মুখ দিয়ে পরিষ্কার করিয়ে নেন ছাত্রলীগ নেত্রী। এ ঘটনার পরদিন সোমবার ভয়ে আতঙ্কে ভিকটিম হল ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। জানা গেছে, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরা পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এবং তার সহযোগী তাবাসসুম ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ছাত্রী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। গণরুমে ডেকে নিয়ে তাকে নির্যাতন করা হয়। ভুক্তভোগী বলেন, ‘নির্যাতনে আমার শরীর ব্যথা হয়ে আছে। জীবন বাঁচাতে পরের দিন সোমবার ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে আসি।

আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ অভিযুক্ত সানজিদা চৌধুরী অন্তরা বলেন, ‘সে আমার নাম করে আমাকেই ভয় দেখাচ্ছিা। এ জন্য তাকে বুঝানো হয়েছে। তার সঙ্গে আমার এমন ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, অভিযোগ প্রমাণ হলে আমরা প্রশাসনের কাছে তার শাস্তির দাবি জানাব। সাংগঠনিকভাবেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই র‌্যাগিং অ্যালাও না। নীতিগতভাবে আমি কখনো এর সমর্থন করিনি। কীভাবে কী ঘটল- সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ভুক্তভোগী ছাত্রীর লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় প্রজাপতি-২ রুমে যেতে বলেন ফুলপুরি খাতুনকে। অসুস্থ থাকায় সেদিন যেতে পারেননি। এরপর ফুলপুরিকে হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তাবাসসুম। গত শনিবার রাতে তাবাসসুম প্রথম দফায় র‌্যাগিং করেন এবং হল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন ফুলপুরিকে। তবে হলের প্রভোস্টের সহযোগিতায় বিষয়টির সমাধান হয়। পরের দিন গত রবিবার সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ সাত-আটজন ফুলপুরিকে গণরুমে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি চড় মারতে থাকেন।

মারার কারণ জানতে চাইলে তার মুখ চেপে ধরেন ও গালিগালাজ করেন। এরপর ময়লা গ্লাস মুখ দিয়ে পরিষ্কার করিয়ে নেন। পরে ওই ছাত্রীকে জামা খুলতে বলেন তারা। জামা না খোলায় আবার মারতে থাকেন তাকে। এরপর জোর করে তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেন এবং ভিডিও সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দেন ছাত্রলীগ নেত্রী ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনা কাউকে বললে হত্যার হুমকিও দেন তারা।

নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর