চলতি মাসের ৩ তারিখ চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সেখানে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদকের অবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো বলে নিশ্চিত করেছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ছোট ভাই সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু।
এদিকে, খোঁজ নিয়ে গেছে এক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কেউই থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের খোঁজ খবর নিচ্ছেন না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে কোনো খোঁজ খবর নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি একবারের জন্যও খোঁজ নেননি সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের। এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানার জন্য কয়েকবার প্রতিবেদক অফিস থেকে দুই দিন ধরে ফোন করেন এবং মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা পাঠান। এরপরও তিনি কোনো প্রতিউত্তর করেননি।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাকও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চিকিৎসার তেমন কোনো খোঁজ খবর নেননি বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে তাকে ফোন করা হলে মিটিংয়ের ব্যস্ততার কারণে কথা বলতে রাজি হননি।
এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে সাংগঠনিক সম্পাদকরাও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চিকিৎসার কোনো খোঁজ খবর নিচ্ছেন না বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে, ফেসবুকে হাসপাতালের বেডে শুয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আধ্যাত্নিক গান শুনছেন বলে একটি কয়েক সেকেন্ডের ভিডিও পোস্ট করেছেন তার ছোট ভাই আশফাকুল ইসলাম টিটু। টিটু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সব সময়ই আমার ভাইয়ের বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। অন্যদের পক্ষ থেকে তেমনটা দেখা যায়নি।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রকৌটল অফিসার আলাউদ্দীন আহমেদ চৌধরী নাসিম ফোন করে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চিকিৎসার খবর নিয়েছেন বলে জানা যায়।
থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে রয়েছেন তার ভাই সাফায়েতুল ইসলাম, বোন রাফিয়া নূর রুপা, ভাইয়ের স্ত্রী নাজমা ইসলাম ও তার ব্যক্তিগত সহকারি এস এম সাজ্জাদ হোসেন শাহীন।