(দ্যাটাইমসঅফবিডি.কম): চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল সাংসদ জাহাঙ্গীর কবির নানকের এক সম্পূরক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। কোটা বাতিলের ঘোষণার প্রেক্ষিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আনন্দ মিছিল করে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে “মাদার অব এডুকেশন” উপাধিতে ভূষিত করে।
প্রধানমন্ত্রী জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সচিবকে চলমান বিষয়টি আরো অধিকতর পর্যালোচনা করে প্রজ্ঞাপন জারির নির্দেশ প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে পড়ার টেবিলে ফিরে যায়।কিন্তু পরবর্তীতে একটি পক্ষ মীমাংসিত বিষয়টিকে পূঁজি করে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছে যদিও আন্দোলনকারী এই পক্ষটির সাথে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে জানা যায়। গত ৩০ জুন কোটা সংস্কার আন্দলনকারী নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন ডাকলে সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারী দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক বাকবিতন্ডা এবং ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়। পরবর্তীতে আন্দোলনকারীদের পক্ষে তানবীর হাসান সৈকত সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন এবং চলমান আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
চলমান আন্দোলনের শুরু থেকেই আন্দোলনকারী নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক শিবির সংশ্লিষ্ঠতার প্রমাণ পাওয়া যায়।আন্দোলনকারীদের একাংশের যুগ্ম-আহব্বায়ক রাশেদ এক সময় শিবিরের সদস্য ছিলেন। সম্প্রতি তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে নিয়ে সামাজিক যোগাযগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ন মন্তব্য করেন।
বর্তমানে রাশেদ সমর্থিত এই গ্রুপটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্দোলনকে পুঁজি করে মিথ্যা প্রোপাগণ্ডা এবং গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। এই গুজবেরর প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব থেকে গুজব এবং প্রোপাগণ্ডার জবাব দিচ্ছে। আন্দোলনকারী এই অংশটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরনো ছবি এবং সম্প্রতি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বিইউবিটির এক শিক্ষার্থী বাসচাপায় নিহত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করলে সেই ছবিগুলোকে পুঁজি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রাব্বানী বলেন; ” শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। তিনি আরও বলেন শিবির এবং স্বাধীনতার দোসর জামায়-শিবিরের অর্থায়নে পরিচালিত এ আন্দোলনের বিরুদ্ধে সকল মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে এক হয়ে এ আন্দোলন রুখে দিতে হবে।” আন্দোলনকারীদের একাংশ আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষার বর্জনের ঘোষণা দিলেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ নিয়মিত ক্লাস এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
শফিক আহমেদ ভূ্ইয়া/দ্যাটাইমসঅফবিডি.কম/০৩/০৭/১৮