আজ শনিবার। ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় রাত ১১:৫৫

যে যে কারণে সাধারন শিক্ষার্থীদের সমর্থন হারাচ্ছে কোটা সংস্কার আন্দোলন।

যে যে কারণে সাধারন শিক্ষার্থীদের সমর্থন হারাচ্ছে কোটা সংস্কার আন্দোলন।
নিউজ টি শেয়ার করুন..

দ্যাটাইমসঅফবিডি.কম:  ধীরে ধীরে কোটা সংস্কার আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমর্থন হারাচ্ছে এবং বর্তমানে এ আন্দোলন গুটিকয়েকের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
আজ শনিবার বেলা ১১ টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মিছিল ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। কিন্তু এতে মাত্র ২০-৩০ জন ছাত্র অংশগ্রহণ করে। বিগত ১ মাস যাবত তাদের আন্দোলন গড়ে ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে হাতেগোনা ৫-৬ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবার বাকিরা দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।
মুলত যে কারণে সমর্থন হারিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনঃ-
১। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই পড়ার টেবিলে ফিরে গেছে এবং তাদের বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্তই নিবেন তা তাদের জন্যই ভালো হবে। কারণ বর্তমান সরকারের নয় বছরে যে ৮ টি বিসিএস হয়েছে সবগুলাই ফেয়ার হয়েছে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর তাদের অগাধ বিশ্বাস।
২। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী নেতাদের রাজনৈতিক পক্ষপাত দুষ্টতা। প্রথমে যখন কোটা আন্দোলন হয় তখন তা ছিল পুরোপুরি অরাজনৈতিক। কিন্তু পরবর্তীতে নেতৃত্ব দানকারী নেতা বিশেষ করে রাশেদ-নুর-আতিকুল্লাহ এদের সবার শিবির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। সাধারণ ছাত্ররা শিবিরকে অত্যন্ত অপছন্দ করে।
৩। অর্থ সংশ্লিষ্টতাও সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহন কমে যাওয়ার আরেকটি কারণ। আন্দোলনের নেতারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার  অভিযোগ উঠেছে। গোয়েন্দা সুত্রে জানা গেছে আন্দোলনের জন্য নেতারা বিএনপির কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়েছে।
৪। আন্দোলনকারীদের মধ্যে দুটি পক্ষ সৃষ্টি ও দলাদলির কারনেও কমছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ। একটি পক্ষ রাজনৈতিক পক্ষাপাতদুষ্ট। তারা একটি দলকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে এ আন্দোলনকে ব্যবহার করছে। আর অপর পক্ষ নিয়মতান্ত্রিক পথে যেতে চাচ্ছে। তারা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রতি আস্থাশীল।
মোদ্দাকথা কোটা সংস্কার আন্দোলন এখন আর অরাজনৈতিক নেই। এটি একটি দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ব্যাবহারের চেষ্টা এবং নেতাদের সংশ্লিষ্টতা এই আন্দোলনের অংশগ্রহণ সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে কমিয়ে দিয়েছে। এবং তা কমতে কমতে এখন প্রায় শূন্যের কোঠায়।
এর আগে শনিবার (৩০ জুন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলন কারীদের দুই গ্রোপের  মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোটা সংস্কার নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা সকালে সংবাদ সম্মেলন করতে যান ক্যাম্পাসে। এ সময় তাদের বাধা দিয়েদফায় দফায় মারধর করা হয়।

দ্যাটাইমসঅফবিডি.কম/০৬/০৭/১৮/শফিক আহমেদ ভূইয়া


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর