আজ শনিবার। ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় রাত ১১:২১

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কীভাবে বাড়ানো যায়? চলুন জেনে নেয়া যাকঃ

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কীভাবে বাড়ানো যায়? চলুন জেনে নেয়া যাকঃ
নিউজ টি শেয়ার করুন..

দ্যাটাইমসঅফবিডি.কম: ঢাকা -মঙ্গলবার -০৭ আগস্ট ২০১৮ : ২৩ শ্রাবণ ১৪২৫

১. শিখতে থাকুনঃ বহু গবেষণাতেই দেখা গেছে, শিক্ষা মানসিক কার্যক্ষমতা ধরে রাখে। এ তত্ত্ব অনুযায়ী, মানুষ যত বেশি শিক্ষিত তার মানসিকতাও তত সমৃদ্ধ। তাই এসব মানুষের মস্তিষ্কে যত অবসাদ আসতে নেয় তাদের মস্তিষ্ক তত বেশি বাধা দেয়। শিক্ষা যত বেশি হবে তত বেশি আপনার মস্তিষ্ক কার্যক্ষম থাকবে।

২. ক্রসওয়ার্ড করুনঃ আপনি যদি স্কুলে আবার ফিরতে না চান, তাহলেও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা টিকিয়ে রাখার উপায় আছে। এ জন্য আপনাকে নিয়মিত ক্রসওয়ার্ডের সমাধান করতে হবে। তরুণ বয়সে আপনি শিক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও বয়স হলে ক্রসওয়ার্ড হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত সমাধান। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের ক্রসওয়ার্ড নিয়ে একটি দিন ব্যস্ত থাকলে সে কারণে দুই মাস পিছিয়ে যায় মস্তিষ্কের রোগ ‘ডিম্যানশিয়া’!

৩. নেতিবাচকতা বাদ দেওয়াঃ মন থেকে নেতিবাচকতা ত্যাগ করা হতে পারে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ধরে রাখার অন্যতম উপায়। যখন কোনো একটি বিষয়ে মস্তিষ্ক উদ্বিগ্ন থাকে তখন মস্তিষ্ক তা গ্রহণ করে এবং সেভাবে প্রস্তুত হয়। এ কারণে নেতিবাচক চিন্তাগুলো মস্তিষ্কে স্থায়ী হয়ে যায়। অন্যদিকে ইতিবাচক ও গঠনমূলক বিষয় নিয়ে চিন্তা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৪. ‘ব্রেন গেম’ খেলুনঃ ভিডিও গেম নয় খেলুন ব্রেন গেম। ইন্টারনেটে ব্রেন গেমের নানা রকম ভিডিও দেখুন। দাবা খেলুন। তবে ভাল না লাগলেও শুধু স্মৃতিশক্তি বাড়াতে হবে বলেই ব্রেন গেম খেলব, দাবা খেলব এমনটা করার দরকার নেই।

৫. সামাজিকতাঃ সামাজিকতা ও ভালো স্মৃতিশক্তির একটি পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। অর্থাৎ ভালো স্মৃতিশক্তিধারীরা বেশি সামাজিক হয়। তবে এতে কোনটির অবদান বেশি তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। তবে ২০০৮ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, যেসব অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি সামাজিকতায় তেমন অংশ নেন না, তাদের মস্তিষ্ক সামাজিকদের তুলনায় দ্বিগুণ হারে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।

৬. একসঙ্গে অনেক কাজ (মাল্টিটাস্ক) বাদ দিনঃ আমরা অনেকেই একসঙ্গে অনেক কাজ (বা মাল্টিটাস্ক) করে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করার চেষ্টা করি। কিন্তু বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, মাল্টিটাস্ক বাস্তবে মানুষকে ধীর করে দেয়। এতে মনোযোগ বিক্ষিপ্ততা তৈরি হয়, যা সৃষ্টিশীলতার তুলনায় সমস্যাই বেশি তৈরি করে।

৭. নতুন কিছু শিখুনঃ নতুন কোনো কাজ শেখার চেষ্টা করলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। এই যেমন ধরুন আপনি হয়তো কাগজের প্লেন তৈরি করতে জানেন না। সেটা শিখে নিয়ে তৈরি করুন। কিংবা নতুন কোনো কাজ করতে শুরু করুন।নতুন যে কোন কাজে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

৮. ভিন্ন পথ অনুসরণ করুনঃ একই পথে রোজ বাড়ি না ফিরে একটু অন্য পথে ফিরুন। একঘেঁয়েমি কোনো কাজ মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয়। সমীক্ষায় দেখা গেছে, অফিস কিংবা কাজ থেকে বাড়ি ফিরতে অন্য কোনো পথে বাড়ি ফিরলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

৯. তথ্যকে সংগঠিত করুনঃ বিষয়গুলো লিখুন, জটিল বিষয়গুলোর নোট নিন এবং পরে ক্যাটাগরি অনুযায়ী পুনর্বিন্যাস করুন। চেষ্টা করে এর ব্যাখ্যা বের করুন। অধিকতর জটিল বিষয়গুলোর মৌলিক ধারণার ওপর জোর দিন, বিচ্ছিন্নভাবে মুখস্থ করার চেষ্টা করবেন না। জটিল বিষয়টি অন্যকে নিজের ভাষায় বোঝানোর ক্ষমতা অর্জন করুন। বারবার তথ্যের রিহার্সেল করুন এবং অতিরিক্ত শিখুন। যেদিন বিষয়টি শিখলেন, সেটি আবার ঝালাই করুন এবং মাঝেমধ্যে বিরতি দিয়ে আবার ঝালাই করুন।

১০. শারীরিক অনুশীলন ও সঠিক খাবারঃ মস্তিষ্কের দীর্ঘস্থায়ী কার্যকারিতার জন্য শারীরিক অনুশীলন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ক ক্রমাগত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। আর এ পর্যায়কে বিলম্বিত করে শারীরিক অনুশীলন। শারীরিক অনুশীলনের ফলে মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায় এবং নার্ভ সেল উৎপাদন বজায় রাখে। এমনকি ছয় মিনিটের শারীরিক অনুশীলনও মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

১১. ঘুমানোর আগে করণীয়ঃ রাতে শোয়ার আগে নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন। মনে করার চেষ্টা করুন সারাদিন কী করলেন। তবে হ্যাঁ, স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। নির্ঘুম শরীর অনেকাংশেই মনের ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে। তাই ঘুম হতে হবে ঠিকঠাক।”


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর