আজ রবিবার। ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। ৯ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় রাত ১২:৪৬

বাল্যবিয়ে করলেন স্কুল শিক্ষক!

বাল্যবিয়ে করলেন স্কুল শিক্ষক!
নিউজ টি শেয়ার করুন..

বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা সোচ্চার ভূমিকা পালন করছে। সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে দেশজুড়ে কাজ করছে বিভিন্ন মহল। ব্যক্তি উদ্যোগেও নানা কর্মকাণ্ড চলছে। স্কুলশিক্ষার্থীরা পর্যন্ত দল বেঁধে এমনকি একাকী বিভিন্ন বাল্যবিয়ে রোধ করে প্রশংসা কুড়াচ্ছে। পেশাজীবীদের মধ্যে শিক্ষকদের ভূমিকাও কম নয়। তবে এবার খোদ এক শিক্ষকই বাল্যবিয়ের মতো আইনবিরুদ্ধ কাজ করেছেন।নাটোরে বাল্যবিয়ে করলেন স্কুল শিক্ষক!

ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল এলাকায়। ১৪ বছর বয়সী অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন তার শিক্ষক। আজ বুধবার অনুষ্ঠান করে বাল্যবধূকে ঘরে তোলার কথা রয়েছে। এর আগে গত রবিবার মধ্যরাতে দুই পক্ষের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে নিয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন স্থানীয় কাজি মো. আলাউদ্দিন প্রামাণিক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জোনাইল এমএল উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক ও দারিকুশি গ্রামের রহিম ভূঁইয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৭) অষ্টম শ্রেণির ক্লাস নিতেন। ওই ক্লাসেরই রিয়া খাতুনের প্রতি তাঁর ভালোলাগা সৃষ্টি হলে প্রথমে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে তার বাবা

পাশের চর গোবিন্দপুর গ্রামের নুরুল হোসেনের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ছেলে হিসাববিজ্ঞানে মাস্টার্স ও স্কুল শিক্ষক হওয়ায় পাত্র হিসেবে ভালো বিবেচনায় মেয়ের বাবাও রাজি হয়ে যান। অবশেষে মেয়ের অমতে জোর করেই বিয়ে দেওয়া হয়।

তবে এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠলে শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পছন্দ হয়েছে, তাই কলেমা পড়িয়ে রেখেছি। মেয়ের বয়স ১৮ বছর হওয়ার পর ঘরে তুলে আনব। বিয়ের কিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকে, সেটা শুধু করে রাখা হবে।’

এমএল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আশিকুর জামান বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটবে বুঝতেই পারিনি। এ ঘটনার পর স্কুলের সিনিয়র শিক্ষকদের ডেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে খণ্ডকালীন শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে আর স্কুলে আসতে দেওয়া হবে না।’

এদিকে স্থানীয় কাজি মো. আলাউদ্দিন প্রামাণিক ওই বিয়ে পড়ানোর কথা অস্বীকার করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার পারভেজ জানান, ওই শিক্ষক উচ্চশিক্ষিত হয়েও দেশের প্রচলিত আইন ভঙ্গ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট ভাস্কর কুমার বাগচি বলেন, বাল্যবিয়ের কারণে পাত্রসহ দুই পক্ষের অভিযুক্তদের দুই বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তা ছাড়া আইনে সর্বনিম্ন ছয় মাস সাজার কথাও বলা আছে।

নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর