আজ সোমবার। ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। ১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় রাত ১১:০৩

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়।

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়।
নিউজ টি শেয়ার করুন..

সৃজনশীল প্রশ্ন:

চতুর্থ অধ্যায়:-

নবম ও দশম শ্রেণি:

উদ্দীপকটি পড়ে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

জলবায়ুবিষয়ক একটি বই পড়ে কবির বিভিন্ন দেশের জলবায়ু সম্পর্কে পর্যালোচনা করেছে। সে পড়েছে কোনো একটি দেশে মে মাসে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। দেশটির দুটি অঞ্চলে যখন ২০০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়, তখন তার পাহাড়ি অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয় ৮০ সেন্টিমিটার।

ক) বাংলাদেশের জলবায়ু কী ধরনের?

খ) বাংলাদেশের মৌসুমি বৃষ্টিপাতের বর্ণনা দাও।

গ) উদ্দীপকে কবিরের পর্যালোচনাকৃত দেশটির নাম কী? সে দেশের গ্রীষ্ম ঋতুর সঙ্গে বাংলাদেশের গ্রীষ্ম ঋতুর তুলনামূলক চিত্র বর্ণনা করো।

ঘ) ওই দেশের কোনো কোনো স্থানে শীতকালে জলবায়ু ভিন্ন থাকে—উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

উত্তর : ক) বাংলাদেশের জলবায়ু মোটামুটি উষ্ণ, আর্দ্র ও সমভাবাপন্ন।

খ) বাংলাদেশে জুন মাসের শেষ দিকে মৌসুমি বায়ুর আগমন ঘটে। বাংলাদেশে মৌসুমি বৃষ্টিপাতে পর্বতের পাদদেশে এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলের কোথাও ২০০ সেন্টিমিটারের কম বৃষ্টিপাত হয় না। সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চলে ৩৪০ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীতে ২০০ সেন্টিমিটার, চট্টগ্রামে ২৫০ সেন্টিমিটার, রাঙামাটি অঞ্চলে ২৮০ সেন্টিমিটার এবং কক্সবাজারে ৩২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।

গ) উদ্দীপকে কবিরের পর্যালোচনাকৃত দেশটির নাম মিয়ানমার। মানুষের জীবনে জলবায়ুর প্রভাব বহুমুখী ও গুরুত্বপূর্ণ। মৌসুমি জলবায়ুর কারণে বায়ুর তারতম্য ঘটে। মিয়ানমারে তিনটি ঋতুর উপস্থিতি পাওয়া যায়। উদ্দীপকে কবিরের পর্যালোচনাকৃত দেশ মিয়ানমারে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল। এ সময়ে এ দেশের বেশির ভাগ স্থান অত্যন্ত উত্তপ্ত এবং গড় তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছে। এ সময় সূর্য উত্তর গোলার্ধে অবস্থান করে বিধায় মধ্য এশিয়ায় বিরাট নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় এবং এ অঞ্চলে মৌসুমি বায়ুর প্রবাহ শুরু হয়। এ সময়ে ভামোতে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মান্দালয়ে ৩২ ডিগ্রি এবং ইয়াঙ্গুনে প্রায় ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করে।

অন্যদিকে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে গ্রীষ্মকাল। এটিই দেশের উষ্ণতম ঋতু। এ ঋতুতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে থাকে। গড় হিসাবে উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এ সময়ে সামুদ্রিক বায়ুর প্রভাবে দেশের দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বেশি থাকে।

ঘ) মিয়ানমারে শীতকালে জলবায়ু ভিন্ন থাকে। মিয়ানমারের জলবায়ু ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ক্রান্তিময় মৌসুমি ধরনের।

এ অঞ্চলের জলবায়ুতে শীত, গ্রীষ্ম ও বর্ষা—এ তিনটি আলাদা ঋতুর উপস্থিতি সুস্পষ্ট।

উদ্দীপকের জলবায়ুবিষয়ক একটি বই পড়ে কবির বিভিন্ন দেশের জলবায়ু সম্পর্কে পর্যালোচনা করেছে। মিয়ানমারে শীতকালে সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থান করায় উত্তর গোলার্ধে এশিয়ার মধ্যভাগে এক বিরাট উচ্চ চাপের সৃষ্টি হয় এবং সেখান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকের সমুদ্রে অপেক্ষাকৃত বেশি তাপযুক্ত অঞ্চলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। ফলে উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ু দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রভাবিত হয়। উত্তরের এই শীতল বায়ুপ্রবাহের প্রভাবে মিয়ানমারে তখন বেশি শীত হওয়ার কথা থাকলেও উত্তরাংশে পার্বত্য অঞ্চলের উপস্থিতির কারণে শৈত্যপ্রবাহ তত প্রকট আকার ধারণ করে না। এ বায়ুপ্রবাহ মার্চ মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এ সময়ে উত্তর মিয়ানমারের উঁচু পার্বত্য এলাকায় তুষারপাত হয় এবং তাপমাত্রা হিমাঙ্কের কাছাকাছি চলে যায়। অতএব বলা যায়, শীতকালে মিয়ানমারের কোনো কোনো স্থানের জলবায়ু ভিন্ন থাকে।

নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর