কোটা আন্দোলনের চলাকালীন গত ৮ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে হামলা করে একদল সন্ত্রাসী।বিশৃঙ্খলাকারীদের প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসে ছাত্রলীগ। হামলাকারী ছাত্রলীগের উপর চড়াও হলে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দুই নেতা সাদ্দাম হোসেন ও জাফর আহমেদ ইমন মারাত্মক ভাবে আহত হন এবং তাদের দুটি নতুন বাইক ভাংচুর করে পুড়িয়ে দেয়।
ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের অনেকেই জানান,”অনেক কষ্টের টাকায় কেনা মোটর বাইক দুটো অতর্কিত হামলায় পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এরূপ ক্ষতির সম্মুখীন হলে ক্ষতিপূরণের দায়ভার সংগঠনের উপরই বর্তায় বলে আমরা মনে করি। না হলে বিপদের দিনে ছাত্রলীগের পাশে স্বার্থহীন কর্মী পাওয়া কষ্টকর হবে।” এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের অনেক নেতা গোলাম কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ দুই ছাত্রলীগ নেতার ক্ষতিপূরণের জন্য অনুরোধ জানান।কেন্দ্রীয় দুই নেতা সবাই তখন আশ্বস্ত করলেও পরবর্তীতে এ নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানা যায়।পরবর্তীতে তারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রাব্বানীর সরনাপন্ন হলে তিনি তাদেরকে মোটর সাইকেল ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বলে আমরা জানতে পারি।
এ ব্যাপারে গোলাম রাব্বানী সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “সংগঠনের প্রয়োজনে সাড়া দিতে গিয়ে আমাদের প্রাণের সংগঠনের এই ছেলে দুটো শিবির-ছাত্রদলের ক্যাডারদের দ্বারা শারীরিক আক্রান্ত হয়েছে।এমনি তাদের কষ্টের টাকায় কেনা মোটর বাইক দুটি পুড়িয়ে দিয়েছে।তাই আমি মনে করি এই দায়িত্ব সংগঠনকেই নিতে হবে।সংগঠনের একজন কর্মী হিসেবে বিবেকের তাড়নায় সংগঠনের সম্মান অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে একজন প্রিয় অগ্রজের সহায়তায় দুটো মোটর বাইক কিনে ছেলে দুটোর মুখে হাসি ফুটানোর চেষ্টা করেছি মাত্র।”

