রাজনীতি
নিউজ আপডেট
শফিক আহমেদ ভূইয়া
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা ৩২৩ প্রার্থীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেতা হিসেবে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার আগে প্রার্থীদের রাজনৈতিক মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতার পরীক্ষা নিতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তিনি।এর আগে বাংলাদেশের ছাত্রলীগের ২৯ তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথীর এক বক্তব্যে তিনি বলেন সমঝোতার মাধ্যমে ১২.০৫.১৮ তারিখ বাংলদেশ ছাত্রলীগরে কমিটি ঘোষনা করা হবে।কিন্তু পরবর্তীতে কমিটি ঘোষনা করা হয় নাই। আগামী রবিবার (২০ মে) ও সোমবার (২১ মে) নেতা হতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের গণভবনে ডাকা হতে পারে। এ কারণে এই সপ্তাহেও ছাত্রলীগের নতুন কমিটির ঘোষণা হচ্ছে না। বুধবার (১৬ মে) রাতে গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
জানা যায়, সেখানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের নেতা হতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের সাক্ষাতকার নেওয়া শেষে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আবারও বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে, ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে ১১১ ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্যে ২১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এ মাসের ১১ ও ১২ তারিখে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে দলটির শীর্ষ দুই পদে নতুন নেতা নির্বাচন করা ছাড়াই শেষ হয় সম্মেলন। এর আগে তিন দফা ভোটে মাধ্যমে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা নির্বাচিত হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় সারাদেশ থেকে আসা কাউন্সিলররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নেতা নির্বাচন করে। তবে গত দুইবার ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হলেও তাদের নিয়ে নানা ধরনের সমালোচনা হয়। সর্বশেষ দুই কমিটির মাধ্যমে সংগঠনটিতে অনুপ্রবেশ ঘটেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সংগঠনের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হতাশ করেছে। এরই পরিপ্রক্ষিতে সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোট প্রক্রিয়া বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান শেখ হাসিনা।এরপর ইলেকশন নয়, বরং সিলেকশনে নেতা বানানোর সিদ্ধান্ত জানান তিনি।যার মাধ্যমে সিন্ডিকেট মুক্ত হবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, অনেক মেধাবী পরিচ্ছন্ন ছাত্রনেতারা সিন্ডিকেটের জন্য কাটা পরে যাচ্ছে।অনেকে আবেগে আপ্লোত হয়ে বলেন ,খেয়ে না খেয়ে বিসিএস ক্যাডারের সপ্নকে মাটি ছাপা দিয়ে দলীয় প্রোগ্রামে অংশগ্রহন দলকে চাঙ্গা করা চাঙ্গাভাব পিরিয়ে আনা সহ দিনরাত পরিশ্রম করি যে সংগঠনের জন্য ,সেই নিখাদ কর্মীরা সিন্ডিকেটের বলির পাটা হয়।
