আজ সোমবার। ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। ১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় রাত ১০:৩৭

জীবনযাত্রাকে একদমই পাল্টে দেবে ফাইভজি প্রযুক্তি বাংলাদেশও চালু হচ্ছে ফাইভজি।

জীবনযাত্রাকে একদমই পাল্টে দেবে ফাইভজি প্রযুক্তি বাংলাদেশও চালু হচ্ছে ফাইভজি।
নিউজ টি শেয়ার করুন..

দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে একদমই পাল্টে দেবে ফাইভজি প্রযুক্তি। ওয়ান থেকে ফোরজি পর্যন্ত এত দিন যে ধরনের প্রযুক্তি আমরা দেখেছি এর সঙ্গে কোনো মিলই থাকবে না ফাইভজির। বলা হচ্ছে, এই প্রযুক্তিতে যুক্ত হলে দেখা যাবে নতুন এক পৃথিবীকে। আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে উন্নত বিশ্বের কয়েকটি দেশ ফাইভজি চালু করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকতে চায় না বাংলাদেশও। তাই বিটিআরসির সহায়তায় বুধবার ঢাকায় প্রথমবারের মতো ফাইভজি পরীক্ষা করবে হুয়াওয়ে।

টুজি নেটওয়ার্কে খুব অল্প পরিসরে ইন্টারনেট ডেটা সংযোগ পাওয়া যেত। ভয়েস কলে যোগাযোগের সঙ্গে টেক্সট মেসেজই ছিল মূলকথা। এ অবস্থা বদলে দিল থ্রিজি। লাইভ ভিডিও কল, মোবাইল থেকেই বাজার করা, ডাক্তার দেখানো, টিকিট কাটা, বিল পরিশোধসহ নিত্য জীবনের অনেক কাজ শুরু হলো থ্রিজি ব্যবহার করে। প্রতিষ্ঠিত হলো ব্যবসা-বাণিজ্যের ‘ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম’ নামের নতুন খাত ও ধারা।

এরপর ফোরজি এসে আমাদের নিয়ে গেল ইন্টারনেটের সুপার হাইওয়েতে। ফোরজিতে গতি ১০০ এমবিপিএস  থেকে ১ জিবিপিএসও হতে পারে। যদিও বাংলাদেশে ফোরজির গতি ৭ এমবিপিএস ঠিক করে দেওয়া।

থ্রিজিতে দুই জিবির এইচডি মুভি ডাউনলোড হতে যেখানে লাগত ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট সময়, ফোরজি এসে সময় কমিয়ে আনল তিন মিনিটে। সবার মনে তাই স্বাভাবিক প্রশ্ন—ফাইভজি হলে কী লাভ হবে??

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফাইভজি প্রযুক্তি দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে একদমই পাল্টে দেবে। এমন কিছু ঘটতে চলেছে, যা হয়তো কল্পনাকেও হার মানাবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ি চালানো, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি, স্মার্ট সিটি ও  নেটওয়ার্ক যুক্ত রোবটের খরবদারি এমন অনেক কিছু। নতুন করে ভাবতে হতে পারে প্রচলিত আইন-কানুন, নগর পরিচালনা এমনকি রাষ্ট্রব্যবস্থা নিয়েও।

চলতি বছরেই ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হাজার কোটি নিরাপদ সংযোগ তাত্ক্ষণিকভাবে গড়তে পারবে ফাইভজি প্রযুক্তি। বড় প্রভাব পড়বে পরিবহন, স্বাস্থ্য, জরুরি সেবা, উৎপাদন ও বিতরণ ক্ষেত্রে। পুরো অর্থনীতির মোড় আর সামাজিক ব্যবস্থা পাল্টে ফেলার মতো প্রযুক্তি এটি।

অর্থনীতিবিদরা ধারণা করছেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ফাইভজির প্রভাবে আসা নতুন পণ্য ও সেবার মূল্য হবে ১২ লাখ কোটি ডলার। ফাইভজির অগ্রগতির ফলে মোবাইল নেটওয়ার্ক মানুষের সঙ্গে শুধু মানুষ ও তথ্যের সংযোগের বদলে মানুষের সঙ্গে প্রতিটি জিনিসের সংযোগ তৈরি হবে।

প্রযুক্তিগত উন্নয়নের যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে এই প্রযুক্তি, তার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারলে উল্টো নানা বিপদের মধ্যে পড়তে হবে। খ্যাতনামা কনসালট্যান্সি ফার্ম ম্যাকিনসি  গ্লোবাল ইনস্টিটিউট বলছে,  রোবটের কারণে ২০৩০ সাল নাগাদ ৪৬টি দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ চাকরি হারাবে। এতে বিশ্বজুড়ে পাঁচ ভাগের এক ভাগ চাকরিজীবী মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর ১০ বছরের মধ্যে বিশ্বের ৮০ কোটি মানুষের চাকরি দখল করে নেবে রোবট।


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর