দ্যাটাইমসঅফবিডি.কম: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ঢাকা-১৩ আসনের উন্নয়নের রূপকার দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্নেহধন্য আস্থা ভাজন ব্যক্তিত্ব প্রানপ্রিয় নেতা আলহাজ্ব এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি নির্দেশনায় জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং নৌকার প্রচারনায় মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের নের্তৃবৃন্দ।
১৪ জুলাই ২০১৮ রোজ শনিবার ঢাকা-১৩ আসনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আলহাজ্ব এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি পক্ষে নৌকার প্রচারনা চালান।
মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন আলহাজ্ব এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি এলাকায় যে উন্নয়নের কাজ করেছেন তা গত ৫০ বছরেও হয়নি। মোহাম্মদপুর এলাকায় অনেক মাদ্রাসা রয়েছে। এসব মাদ্রাসা থেকে কখনোই সরকারবিরোধী মিছিল বা হরতালে পিকেটিং করতে পারেনি। এমনকি মতিঝিলে হেফাজতের আন্দোলনের সময়েও এখান থেকে কোনো মিছিল বের হতে দেয়নী। স্থানীয় এমপি নানক যেভাবেই হোক তাদের ট্যাকেল করে রেখেছিলো।
ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আরো জানান ঢাকা-১৩ নং আসনের গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, রাস্তাঘাট, মসজিদ- মাদ্রাসা, মন্দির, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ খেলার মাঠ দখলমুক্ত ও সংস্কার করেছেন। এ ছাড়াও সুস্থ বিনোদনের জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এক সময় এ এলাকা নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল। গ্যাসের তীব্র সংকটে চুলায় হাঁড়ি উঠত না। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের অবস্থা ছিল খুবই নাজুক। খেলার সব মাঠগুলো প্রভাবশালীদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করেছেন তিনি।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০১০ সালে সারাদেশে গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকলেও তিনি মোহাম্মদপুর আদাবর ও বছিলা এলাকায় বিশেষভাবে গ্যাসের ব্যবস্থা করেন। এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে তিনি মোহাম্মদপুর আদাবর ও শেরেবাংলা নগর এলাকায় ৬৭টির অধিক পানির পাম্প বসিয়ে পানির সংকট নিরসন করেন। যার সুফল ভোগ করছে ঢাকা ১৩ আসনে বসবাসরত বাসিন্দারা। ৩৩ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র স্থাপন করে ঢাকা-১৩ আসনকে লোডশেডিংমুক্ত করেন নানক। রাস্তাঘাট ছিল খানাখন্দে ভরা। কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল না। ঢাকা- ১৩ আসনের রাস্তা ও ড্রেনের কাজ সম্পূর্ণ করেন নানক। চৌদ্দ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তাঘাটের ব্যাপক সংস্কার করেন। জাতীয় সংসদ ভবনের খালটি ড্রেনেজ সিস্টেমে কল্যাণপুর খালে সংযুক্ত করেন। যার ফলে এখন প্রবল বৃষ্টিতেও কোথাও পানি জমে থাকে না। শ্যামলী মাঠ, নুরজাহান রোড, কবরস্থান মাঠ, জান্নাতবাগ মাঠ, খিলজি রোড মাঠ, লালমাটিয়া মাঠ, শহীদ পার্ক মাঠ, রায়ের বাজার বৈশাখী মাঠ, বাঁশবাড়ি সবুজসংঘ মাঠসহ সব মাঠগুলোকে দখলমুক্ত করে সংস্কার করেছেন এমপি নানক। অথচ- এই মাঠগুলোতে এক সময় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় দোকান বসতো, বালির ব্যবসা চলতো, সন্ধ্যার পরে অসামাজিক কার্যকলাপ চলতো। মোহাম্মদপুর, বিহারি ক্যাম্প, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর থানা ২০০৯ সালের আগে ছিল মাদক আর সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য। ১৬২ জন চিহ্নিত ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী এ এলাকায় ভাড়ায় কাজ করত। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, রাহাজানি, খুন, চাঁদাবাজি, ভূমিদখল, মাদক ব্যবসা করত। কোন ভদ্রলোক এই এলাকায় বসবাস করতেন না। সাধারন মানুষজন তাদের কাছে জিম্মি ছিল। এমপি নানক সাহেবের সৎ সাহসে তারা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান হয়েছে।
মোহাম্মদপুর আলহাজ্ব মকবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ,এ.কে.সাফায়েত দ্যাটাইমসঅফবিডি.কম কে জানান,মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের নের্তৃবৃন্দের সাথে একাত্ব্যতা পোষন করে বলেন
মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের নের্তৃবৃন্দ বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপির পক্ষে ঢাকা-১৩ আসনে উন্নয়নের চিত্র ভোটারদের দ্বারে দ্বারে তুলে ধরতে মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সাথে আলহাজ্ব মকবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নিরলসভাবে কাজ করে যাবে এবং বিএনপি জামাতের এজেন্টদের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সাথে আলহাজ্ব মকবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ রাজপথে আছে থাকবে।
দ্যাটাইমসঅফবিডি.কম/১৫/০৭/১৮