মারুফ হাসান ত্বোহা , জাবি প্রতিনিধি:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) হ্যান্ডবল খেলতে গিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল দলের ১২ খেলোয়াড়সহ তিন শিক্ষক মারধরের শিকার হয়েছে। আহতদের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে একজনের হাত ও একজনের পাজর ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। আহতদের চিকিৎসা চলছে।
এ ঘটনায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন ইবির শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার বিকেল ৩টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল দলের খেলা শুরু হয়। খেলার ৯ মিনিট বাকি থাকতেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় লাঠিসোটা নিয়ে ইবির খেলোয়াড় ও শিক্ষকদের মারধর শুরু করে তারা।
এ সময় শিক্ষক পরিচয় দিয়েও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ড. মাহবুবর রহমান মারধর থেকে রক্ষা পাননি। এর মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. সোহেলের নাক ফাটিয়ে দেয়া হয়। রাব্বী নামের একজন খেলোয়াড়ের হাত ভেঙে দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মেয়েদেরও মারধর করা হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, এ ঘটনায় আমরা লজ্জিত। লজ্জা প্রকাশ করা ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, আমাদের খেলোয়াড় ও শিক্ষকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর বিচার দাবি করছি।