দ্যাটাইমসঅফবিডি.কম: বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এস.এম জাকির হোসাইনের তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ থেকে দেয়া স্ট্যাটাসে নিন্দার ঝড়।
তার স্ট্যটাসে যা বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন যেসব ছাত্ররা করছে তাদের পেছনে সরকার বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। অথচ তাদের বেশিরভাগ ছাত্রই দেশের কোনো কাজে আসছে না। জনগণের কষ্টের টাকায় সরকার এই ভর্তুকি দিচ্ছে। অথচ ছাত্ররা গবেষক হতে পারছে না, পারছে না কোন বিষয়ভিত্তিক এক্সপার্ট হতে। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রজেক্টে বা কাজে বিদেশি এক্সপার্টদের আনা হচ্ছে।
ছাত্রলীগ নেতার এমন স্ট্যাটাস দেওয়ার পর পরই তার কমেন্টে নিন্দার জড় উঠেছে।
দ্যাটাইমসঅফবিডি.কম পাঠকদের জন্য কিছু কমেন্টস তুলে ধরা হল :
মো: নাজমুল হোসেন নামের একজন কমেন্ট করেন, কেন বের হচ্ছে না জানেন?????
যারা আপনাদের মত ছাত্ররাজনীতি করে তাদের জন্যই বের হচ্ছে না প্রকৃত মেধাবী।
যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার দৌড়ে ক্লাসের 1st হওয়া ছাত্রকে নেওয়া হয় না শুধুমাত্র সে ছাত্ররাজনীতি করত না বলে।
আর গবেষণার কথা বলতেছেন, কত টাকা বাজেট করা হয় একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে??? সেটা জানেন???
ঠিক টাকা বাজেট করা হয় সেটা ঠিক আমি নিজেও জানি না কিন্তু এটা বলতে পারি যখন আমরা টিচারদের কাছে বড় কোন প্রজেক্ট বা রিসার্চ নিয়ে যেতাম তখন টিচাররা এটা বলত ফান্ড নাই, তুমি এই কাজ মাস্টার্স বা পিএইচডি তে করার ট্রাই করো।
আপনি জানেন প্রতি বছর কি পরিমাণ ইঞ্জিনিয়ার বিদেশে চলে যাচ্ছে?? কেনই বা তারা যাচ্ছে??? এর আসল কারণ গবেষণা এর জন্য তারা পযাপ্ত ফান্ড পাই না। তারা স্কলারশিপ নিয়ে চলে যাচ্ছে এবং গবেষণা করছে
মোঃ রাশেদ লিখেন, ড. আনু মোহাম্মদ : আমি বাংলাদেশের একজন ট্যাক্স-ভ্যাট পেয়িং নাগরিক হিসাবে আমার ট্যাক্সের টাকার পূর্ণ হিসাব রাখতে চাই।
এমন একটা সিস্টেম চাই, যেখানে আমার বছরব্যাপী ভ্যাট এবং ট্যাক্সের টাকা কোন কোন খাতে ব্যয় হবে, তা নির্ধারণ করার সম্পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে আমার। এই ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রের কোনো মন্ত্রী-মিনিস্টারের বেতন, মোবাইল খরচ বা প্রাডো কেনার খরচ আমি দেবো না।
কোনো রাষ্ট্রপতির লন্ডন চেক-আপের খরচ আমি দেবো না। কোনো ডিবি পুলিশের ডিউটির খরচ বা বাড়ি তুলে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলার গুলির খরচ আমি দেবো না। বাড়তি খরচে নির্মিত কোনো ফ্লাইওভার বা উন্নয়ন প্রজেক্টের সুদের খরচ আমি দেবো না।
আমার ট্যাক্সের টাকা শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতাল, গণপরিবহন এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে খরচ হবে। আমার ট্যাক্সের টাকা শিক্ষার্থীদের হলের সিট এবং খাওয়া-দাওয়ার ভর্তুকি বাবদ খরচ হবে। এবং এই শিক্ষার্থীদের যেকোনো আন্দোলনে আমার সম্মতি থাকবে। এবং দয়া করে ১৮ টাকা, ৩৫ টাকার খোটা মারার ঔদ্বত্য দেখানোর সময় খেয়াল রাখবেন, ওই টাকার এক পয়সাও আপনার পকেট থেকে আসেনি।
ওবায়দূর নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখছেন,মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে !!!
আজকে শিক্ষকদের উপর হামলা
দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ এর শিক্ষকদের উপর!!!!আপনাদের ভূমিকা কি পরিস্কার করুন! নাহয় এই হামলায় দ্বায়িত্ব আপনাদের নিতেহবে জাকির ভাই ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা
নাইম হোসেন লিখেন, বর্তমান ছাত্রলীগের স্টাটাস দেখে মনে হচ্ছে এরা ভিনগ্রহের বাসিন্দা ।
উনপঞ্চাশের বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এরা না।
তোমাদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও আফসোস করবে,যারা তাঁকে ভুল বার্তা ও পরিসংখ্যান দিচ্ছ।
আর একটা কথা,দেশ আগাবে তখনই যখন সমতা ও ন্যায়ের ভিত্তিতে দেশ পরিচালন হবে।
পেটনীতি আর চামচামি বাদ দিয়ে ছাত্রলীগের স্বরূপে ফেরো ভাই।
নাহলে আমরা অগ্রজরা লজ্জা পাচ্ছি তোমাদের আচারণে।
আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী নাজমুন ট্রিসা লিখছে , ভাই আউটপুক আসবে তখনই যখন ইনপুটের জায়গাটা কানায় কানায় পূর্ণ হবে। গবেষক হতে হলে দিক নির্দেশনা থাকা লাগে৷ কতগুলা ডিপার্টমেন্টে আছে সেইটা? ডিপার্টমেন্ট থাকে বানিজ্য নিয়ে। সেইটা নিয়ে ছাত্রলীগ কেন কথা বলেনা? বিদেশ থেকে সব আনা লাগে কারন আমাদের শিক্ষা সিস্টেমেই সমস্যা। বলতে বাধা নাই যে স্কুলের কলেজের শিক্ষকেরাও আমাদের পড়াশোনায় ১০০% অবদান রেখেছিলেন। সেই ছেলেপেলেরা ভার্সিটিতে উঠা মাত্র কই যায় পড়াশোনা করার ইচ্ছাটা? আপনি তো নিজেই সিলেট থেকে এসেছেন। পড়াশোনা করার ইচ্ছা কেনো চলে যায় আর কেন আমাদের ছেলেমেয়েরা চাইলেই গবেষক হতে পারেনা, তা আপনার বোঝার কথা।
তৌসিফ মামুন লিখছে, জি, জনাব মোঃ জাকির হোসেন, আন্দোলন রত শিক্ষার্থীরা কিছুই হতে পারে নি, তাদের লজ্জা থাকা উচিত! আপনি কি হয়েছেন ঢাবি তে পড়ে? গবেষক নাকি বিজ্ঞানী? তবে কি আপনার লজ্জা নেই??
* জনাব জাকির হোসেন, আন্দোলন রিত শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগ এর হামলা করার অধিকার কে দিলো?? ছাত্রলীগ কে বিচার করার অধিকার কে দিলো??
জানি উত্তর দিবেন না, পাবো না! কিন্তু ভাই জানেন কি? ছাত্রলীগ কে মনে প্রানে ভালোবাসতাম। এখনো ভালোবাসি সেই সোনার সংগঠন কে, যেই সংগঠন বংগবন্ধু নিজ হাতে গড়ে দিয়েছিলেন! কিন্তু ঘৃনা করি ছাত্রলীগ নাম ধারী নেতাদের, যারা কলংক নিয়ে ঘুরে বেড়ায়!
জাকির হোসেন লিখছে,গবেষক আপনারা হন, কিভাবে ধর্ষণ করে উপরের পদ দখল করা যায়! কিভাবে হাতুড়ি নামক প্রযুক্তির উন্নত ভার্সন ব্যবহার করা যায়, কিভাবে স্যারদের শরীরে হাত তুলতে হবে।সব পারেন আপনারা।আল্লাহ আপনাদের কবুল করুক।আমিন.
এস.এম জাকির হোসেনের স্ট্যটাসটি দ্যাটাইমসঅফবিডি.কম পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল,
যেটা আপনি কখনোই চাননি, দিতে চাইলেও নিতে টালবাহানা করেছেন সেটা না দিতে পারলে কথার বরখেলাপ হয় কিভাবে?
চাইলেন সংস্কার!
সরকারের মন্ত্রী একটু সময় চাইলো
সময় দিলেন না
অরাজকতা করলেন
নেত্রী করতে চাইলেন বাতিল
মানলেন না
সংস্কারই করতে হবে
অকে ফাইন
বাতিল যেহেতু চান না
মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখে সংস্কার হবে
সংস্কার হবে না সেটা কে বলেছে?
সংস্কারের লক্ষ্যে কমিটি কাজ করছে।
তারপরও বেশি লাফালাফি কইরেন না!
সরকার আপনাকে বার্ষিক এক লক্ষ এক হাজার দুইশত আট টাকা সত্তর পয়সা ভর্তুকি দিয়ে পড়ায়। জনগণ ভ্যাট ট্যাক্স শুধু আপনাকে ভর্তুকি দেওয়ার জন্যে দেয় না। দিলেও একটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আউটপুট হিসেবে শুধু বিসিএস ক্যাডার চায় না। কয়জন গবেষক হইছেন? কয়জন যার যার বিষয়ভিত্তিক এক্সপার্ট হইছেন? অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তুকি ব্যয়ের পেছনে জনগণের মূল আকাঙ্ক্ষাই ছিল এটি। জনগণের সেই আকাঙ্ক্ষা কত ভাগ কতজন পূরণ করতে পেরেছেন?
বেতন দিয়ে জাপান থেকে ইঞ্জিনিয়ার আনা লাগে কেন?
দেশের টাকা দিয়ে ভারত থেকে কর্পোরেট ওয়ার্কিং ফোর্স আনা লাগে কেন?
ডলার খরচ করে আমেরিকা ইউরোপ থেকে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের জন্য কনসাল্ট্যান্ট নিয়োগ দেওয়া লাগে কেন?
কয়টা নতুন তত্ব আবিষ্কার করছেন?
জনগণ ভ্যাট ট্যাক্সের ভর্তুকি আপনাকে বিসিএস ক্যাডার হওয়া আর ভিসির বাড়ি ভাঙার জন্য দিচ্ছে?
এটা আপনার অধিকার?
লজ্জা হওয়া উচিত আপনাদের!
ভাতের খোটা তো দূরে!
জনগণের কষ্টের টাকায় পড়াশোনা করে যারা জনগণের প্রত্যাশা পূরণের পথে না হেটে, ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ না তুলে শুধু ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ অফিসার হতে চায় ভর্তুকির প্রত্যেকটি পয়সা তাদের পেট থেকে টেনে বের করে আনা উচিত।
সরকারের বহুত ব্যায়ের খাত আছে। সরকার চাইলে সাবসিডি ফিফটি পার্সেন্ট লেস দিয়ে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট কিংবা সোস্যাল সেফটিনেস এর জন্য ব্যয় করতে পারে।
ভাত আর সিটের কথায় খুব লাগছে, না?
খুব যদি লেগেই থাকে দেশের জন্য এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি জরুরি একটা স্মার্ট ওয়ার্কিং ফোর্স। যাতে বাইরে থেকে আনা না লাগে। সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে জনগণের ভর্তুকির টাকার সদ্ব্যবহার করুন।
courtesy :মো. নাজমুল হোসাইন
যেটা আপনি কখনোই চাননি, দিতে চাইলেও নিতে টালবাহানা করেছেন সেটা না দিতে পারলে কথার বরখেলাপ হয় কিভাবে?
চাইলেন সংস্কার!
সরকারের মন্ত্রী একটু সময় চাইলো
সময় দিলেন না
অরাজকতা করলেন
নেত্রী করতে চাইলেন বাতিল
মানলেন না
সংস্কারই করতে হবে
অকে ফাইন
বাতিল যেহেতু চান না
মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখে সংস্কার হবে
সংস্কার হবে না সেটা কে বলেছে?
সংস্কারের লক্ষ্যে কমিটি কাজ করছে।
তারপরও বেশি লাফালাফি কইরেন না!
সরকার আপনাকে বার্ষিক এক লক্ষ এক হাজার দুইশত আট টাকা সত্তর পয়সা ভর্তুকি দিয়ে পড়ায়। জনগণ ভ্যাট ট্যাক্স শুধু আপনাকে ভর্তুকি দেওয়ার জন্যে দেয় না। দিলেও একটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আউটপুট হিসেবে শুধু বিসিএস ক্যাডার চায় না। কয়জন গবেষক হইছেন? কয়জন যার যার বিষয়ভিত্তিক এক্সপার্ট হইছেন? অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তুকি ব্যয়ের পেছনে জনগণের মূল আকাঙ্ক্ষাই ছিল এটি। জনগণের সেই আকাঙ্ক্ষা কত ভাগ কতজন পূরণ করতে পেরেছেন?
বেতন দিয়ে জাপান থেকে ইঞ্জিনিয়ার আনা লাগে কেন?
দেশের টাকা দিয়ে ভারত থেকে কর্পোরেট ওয়ার্কিং ফোর্স আনা লাগে কেন?
ডলার খরচ করে আমেরিকা ইউরোপ থেকে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের জন্য কনসাল্ট্যান্ট নিয়োগ দেওয়া লাগে কেন?
কয়টা নতুন তত্ব আবিষ্কার করছেন?
জনগণ ভ্যাট ট্যাক্সের ভর্তুকি আপনাকে বিসিএস ক্যাডার হওয়া আর ভিসির বাড়ি ভাঙার জন্য দিচ্ছে?
এটা আপনার অধিকার?
লজ্জা হওয়া উচিত আপনাদের!
ভাতের খোটা তো দূরে!
জনগণের কষ্টের টাকায় পড়াশোনা করে যারা জনগণের প্রত্যাশা পূরণের পথে না হেটে, ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ না তুলে শুধু ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ অফিসার হতে চায় ভর্তুকির প্রত্যেকটি পয়সা তাদের পেট থেকে টেনে বের করে আনা উচিত।
সরকারের বহুত ব্যায়ের খাত আছে। সরকার চাইলে সাবসিডি ফিফটি পার্সেন্ট লেস দিয়ে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট কিংবা সোস্যাল সেফটিনেস এর জন্য ব্যয় করতে পারে।
ভাত আর সিটের কথায় খুব লাগছে, না?
খুব যদি লেগেই থাকে দেশের জন্য এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি জরুরি একটা স্মার্ট ওয়ার্কিং ফোর্স। যাতে বাইরে থেকে আনা না লাগে। সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে জনগণের ভর্তুকির টাকার সদ্ব্যবহার করুন।
courtesy :মো. নাজমুল হোসাইন