আজ সোমবার। ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। ১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় রাত ১০:২৪

চমক আসছে চাঁদপুর জেলা যুবদলে, আলোচনায় বাহার-মাসুদ।

চমক আসছে চাঁদপুর জেলা যুবদলে, আলোচনায় বাহার-মাসুদ।
নিউজ টি শেয়ার করুন..

চাঁদপুর বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের কমিটি গঠনের ধারাবাহিকতায় ছাত্রদলের পরেই কমিটি গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে জেলা যুবদলের।দীর্ঘ কয়েক বছরে মিশন-আফজাল অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটিয়ে নতুন আঙ্গিকে জেলা যুবদলকে সাজানো হচ্ছে বলে জানা গেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি ও যুবদলের একাধিক সুত্র থেকে।

এক্ষেত্রে শাহাজালাল মিশনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জোড়ালো সম্ভাবনা হয়েছে ছাত্রদলের সদ্য সাবেক আহবায়ক ফয়সাল গাজী বাহারের এবং সাঃসম্পাদকের সম্ভাবনা রয়েছে ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মাসুদুর রহমানের নাম। জেলা যুবদলকে আরো কার্যকর ও গতিশীল করতে সময়ের পরিক্ষিত নেতাদেরই পদে আনতে চায় কেন্দ্রীয় যুবদল।বিগত কয়েকটি কমিটিতে জেলা ও মহানগর যুবদলে ছাত্রদলের কমিটিতে থাকা অবস্থায় বা সদ্য সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি ও সাঃসম্পাদককে জেলা যুবদলের সভাপতি বা সাঃ সম্পাদক করা হয়েছে।এমন সিদ্ধান্ত নেয়ায় প্রশংসাও কুড়িয়েছে অনেক।এমকি ছাত্রদল নেতাদের জেলা বিএনপির দায়িত্বও দেয়া হয়েছে অনেক জেলা গুলোতে। বিএনপির লন্ডন সুত্রে জানা যায়,তাদের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দদের নির্দেশ প্রদান করেন,সরকারের স্ট্রীম রোলার সহ্য করার পরও যারা রাজপথে সক্রিয় আছে,সাবেক ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং নেতৃত্বদান কালে সফলতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছে তাদেরই যুবদলের দায়িত্ব প্রদানের জন্য।তার প্রেক্ষিতে গত ১ সপ্তাহে দুই দফায় বিভিন্ন জেলা এবং মহানগর কমিটি ঘোষনা করে কেন্দ্রীয় যুবদল।প্রথম দফায় ৩১ টি এবং ২য় দফায় ১০টি কমিটি ঘোষিত হয়।যার কয়েকটিতে আর্থিক লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে নিউজ আসলেও তা সরাসরি অস্বীকার করেন কেন্দ্রীয় নেতারা।সবকিছু ছাপিয়ে সামনের কমিটিগুলোতে যাতে আর কোন সমস্যা না হয় তার জন্য জোড়ালো চাপ আছে লন্ডন থেকে। বিএনপির দলীয় সুত্রে জানা যায়,সামনে আরোকিছু যুবদলের কমিটি গঠিত হতে যাচ্ছে।যার মধ্যে একটি হচ্ছে চাঁদপুর জেলা যুবদলের কমিটি।জেলার সাবেক এবং বর্তমান ছাত্রনেতার সাথে কথা বলে জানা যায়,বিগত আন্দোলন সংগ্রামের চুল ছেড়া বিশ্লেষণ করে জেলা যুবদলের কমিটি গঠন করা প্রয়োজন।এক্ষেত্রে সাবেক এবং সদ্য সাবেক ছাত্রনেতাদের পক্ষে মত দেন অনেকেই। সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল আমিন আকাশ,ইব্রাহীম কাজী জুয়েলের নাম শুনা গেলেও তারা ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলন  থেকে শুরু করে পরবর্তী বছরের ৫ জানুয়ারীর ৯২ দিনের আন্দোলনে প্রায় নিক্রিয় অবস্থায় ছিল। ইব্রাহীম জুয়েল অতীতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে জেলা বিএনপির সেচ্ছাসেবক সম্পাদক থাকা অবস্থায় কেন্দ্র থেকে বহিস্কৃত হন।এছাড়াও বর্তমান জেলা বিএনপি,যুবদল এবং নব্য ঘোষিত ছাত্রদলের সাথে রয়েছে রাজনৈতিক দুরত্ব।নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা ছাত্রদলের একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান,”সে অনেক আগে থেকে জেলা বিএনপির বর্তমান নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে।এর অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি থেকে তাকে কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদকের স্বাক্ষরিত পত্রে বহিস্কার করা হয়।তাছাড়া তিনদিন পূর্বের ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে তার নিজের একটি অনলাইন নিউজ (চাঁদপুর টাইমস) থেকে কমিটির বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাজে মন্তব্য করা হয়।এমনি ভাবে সে বিভিন্ন কুকর্মের মাধ্যমে জেলার সকল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।আমাদের কাছে খবর আছে বিগত প্রতিটি আন্দোলনে সে পুলিশের কাছে আমাদের অবস্থান জানিয়ে ছিল।যার কারনে আমাদের দলের অনেক নেতা গ্রেফতারও হয়েছে।

সাবেক এবং বর্তমান কয়েকজন ছাত্রনেতার সাথে কথা বলে জানা যায়,জেলা যুবদলের কমিটি হবে বলে শুনতে পারছি।এক্ষেত্রে আমরা মনে করি জেলার সাবেক ছাত্রদল সভাপতি নুরুল আমিন আকাশ,সদ্য সাবেক আহবায়ক ফয়সাল আহমেদ বাহার এবং যুগ্ন আহবায়ক মাসুদ মাঝি ভাই এ তিনজনই সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন।এর মধ্যে কেউ কেউ বলেন আকাশ ভাই যেহেতু যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন তাই উনাকে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে সদ্য সাবেক ছাত্রনেতাদের যুবদলের দায়িত্ব দেয়া উচিত। বিগত দিনে তারা সকল ক্ষেত্রে প্রমাণ করেছে তারা যোগ্য।ছাত্রদলের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় প্রতিটি ইউনিট কমিটি সফলতার সাথে প্রদান,আন্দোলনে বার বার মামলা-হামলা স্বীকার হয়েও পিছু না হটা।এমনকি আমাদের জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ককে পুলিশ মিছিল থেকে গ্রেফতার করে।তারপর নির্যাতন করে তার এক পা ও এক হাত ভেঙ্গে দেয়। গ্রেফতার কালে হাসপাতালে থাকার পরও তিনি ঐ অবস্থায় আন্দোলনের দিক নির্দেশনা দেন।জেল থেকে বের হয়ে আবার হুইল চেয়ারে করে রাজনীতির মাঠে ফিরে আসেন।যার রক্তের স্রোত এই চাঁদপুরের মাটিতে গড়িয়েছে শুধু মাত্র রাজনীতির কারনে, সেই নেতাকে দায়িত্ব না দিল চরম বেইমানি করা হবে বলে আমি মনে করি।আর মাসুদ মাঝির কথা বলতে গেলে, তিনিও কয়েকবার জেলে গিয়েছে তারপরও রাজনীতি ছিলেন সক্রিয়।যেখানে উনাদের চেয়ে কম নির্যাতিত হয়েও আমাদের পাশের জেলা কুমিল্লা সহ অনেক জায়গায় ছাত্রদলের নেতাদের যুবদলের সভাপতি ও সাঃ সম্পাদক করা হয়েছে।তাহলে উনাদের কেন করা হবে না??”

সাবেক এই ছাত্রনেতা আরো বলেন,”মানিক ভাই আমাদের অভিভাবক।তিনি আমাদের দলের সকল অঙ্গ সংগঠনকে উজ্জিবিত করে রেখেছেন।তিনি আমাদের সকল সহযোগী সংগঠন গুলোরও অভিভাবক হিসেবে আছেন।যুবদলের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে মানিক ভাইয়ের অপছন্দের ব্যক্তি আসবেন তা আমরা কোন ভাবেই মানতে পারবো না।অতীতেও চাঁদপুরের কোন কমিটি আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না বলে আমার বিশ্বাস।”Image may contain: 10 people, people standing and outdoor

সকল আলোচনা সমালোচনা শেষে সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতাদের পছন্দের তালিকায় চাঁদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদের দাবীদার এখন দুইজন সাবেক ছাত্রদল নেতা সহ একজন যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা।এদের মধ্যে ছাত্রনেতারা হলেন সাবেক ছাত্রদলের আহবায়ক ফয়সাল গাজী বাহার, যুগ্ন আহবায়ক মাসুদ মাঝি এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল আমিন আকাশ।যদি কেউ কেউ বলছেন আকাশ তার কেন্দ্রের ভালো অবস্থানের জন্য জোর তদবির চালাচ্ছেন।তারপরও তিনি জেলা যুবদলের নতুন কমিটির আলোচনায়ও রয়েছেন বলে জানা যায় অনেকের কাছ থেকে।

দ্যাটাইমসঅফবিডিডটকম/০৯/০৬/১৮


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর