আজ শনিবার। ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় রাত ১১:০৭

গাজীপুরে প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় বখাটের হাতে এক কিশোরী ধর্ষনের পর হত্যা।

গাজীপুরে প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় বখাটের হাতে এক কিশোরী ধর্ষনের পর হত্যা।
নিউজ টি শেয়ার করুন..

দ্যাটাইমসঅফবিডি.কম: ঢাকা -রবিবার-০৯ আগস্ট ২০১৮ : ২৩ ভাদ্র ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

টঙ্গীর স্টেশন রোডে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে মামাতো ভাইয়ের লালসা এবং খুনের শিকার  হল সীমা নামের এক স্কুল শিক্ষার্থী।দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া সীমা(১৭) বেড়াতে এসেছিল বড় বোনের বাড়িতে।

পাশেই তার মামাত ভাই সজলের বাসা।মামাতো ভাই সজল বখাটে ছেলে।ছোট বেলা থেকেই উত্তপ্ত করে আসছিল সীমাকে।মাস্তান প্রকৃতির হওয়ায় কোনভাবেই রাজি হয়নি সীমা।তাই হয়ত আজ জীবন দিয়ে প্রতিদান দিতে হল তাকে। সীমার গ্রামের বাড়ি নবীনগর।তার বোন এবং বোন স্বামী দুজন ঢাকায় সাভারে থাকেন।মাঝে মাঝেই সীমা এখানে বেড়াতে আসত।অন্যদিকে তার মামাত ভাই সজলেরও গ্রামের বাড়ি নবীনগর।সজল তার ভাইয়ের সাথে টঙ্গীতে থাকে। ১ সেপ্টেম্বর বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল সীমা।বোনের বাড়ি আর সজলের ভাইয়ের বাসা খুব কাছাকাছি হওয়ায় সজল ঐদিন থেকেই বিরক্ত করা শুরু করে সীমাকে।গতকাল শুক্রবার বিকালে সীমা ছাদের শুকাতে দেয়া কাপড় আনতে যায়।প্রায় ৩০ মিনিটেও ফিরে না আসায় বড় বোন ছাদে খুজতে যায়।ছাদে না থাকায় আশে পাশে খোজাখুজি শুরু করে কোথাও খুজে পাওয়া যায় না।

এরই মধ্যে বখাটে সজল সীমার মাকে ফোন দিয়ে সীমা বিষ খেয়েছে বলে তাদেরকে টঙ্গী আবেদা হাসপাতালে ঠিকানা দিয়ে মোবাইলের লাইন কেটে দেয়।এরপর থেকে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।সীমার মা তার বোনকে ফোনে জানালে তারা ঐ হাসপাতালে গিয়ে সীমার মরদেহ পায় কিন্তু সজলকে আর পাওয়া যায়নি।পরবর্তীতে সীমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। আমাদের গাজীপুর প্রতিনিধি সীমার বড় বোনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি জানান,”আমার বোন হঠাৎ করে বিষ খেতে পারে না।ঐ সজলই আমার বোনকে মেরে ফেলেছে।সে অনেকবার বলেছে যদি আমি সীমাকে না পাই তাহলে তাকে কারো হতে দিবো না।

সীমাকে মেরে আমি ফাসিতে ঝুলব।সে আগে থেকেই এসব হুমকি দিয়ে আসত।আমরা স্বপ্নেও চিন্তা করিনি আসলে সে এমন কিছু করে ফেলবে।আমরা এর বিচার চাই।” সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বখাটে সজল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।তারা সবাই পলাতক আছে।তাদের মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সেই সাথে একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি আপোষমিমাংসা করে নিতে সীমার বোনের পরিবার ও বাবা-মাকে নানা ভাবে হুমকি ও মানুষিক চাপ সৃষ্টি করছে। প্রভাবখাটিয়ে থানায় মামলা করলেও তা যেন রের্কড না করা হয় সেজন্য বিভিন্ন মহল থেকে তদবির চালানো হচ্ছে।

এদিকে সজল ও সীমার বাড়ি নবীনগর একালাবাসী জানায়,সীমা খুবই শান্ত ও ভদ্র মেয়ে ছিল।সে রাস্তা দিয়েও কখনো মাথা উচু করে হাটত না।আর এই সজলই মাঝে মধ্যে রাস্তা-ঘাটে সীমাকে জালাতন করত,সেই সাথে এলাকা মাস্তানি ও ছিনতাই করে বেড়াত।এনিয়ে এলাকার মুরুব্বিরা অনেকেই সজলকে বকাঝকা করলে এবং তার বাড়িতে বিচার দিলে সজলের পরিবার তাকে তার ভাইয়ের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান টঙ্গীতে পাঠিয়ে দেয়।

বখাটে সজল নবীনগরের বাসিন্দা।তার বাবার নাম খলিলুর রহমান।তার বিরুদ্ধে এলাকায় অনেক বিচার-শালীশ এবং অভিযোগ থাকায় সে এলাকায় থাকা সম্ভব হয়নি।তাই সে তার বড় ভাইয়ের সাথে টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকায় বসবাস করত।

নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর