দ্যাটাইমসঅফবিডি.কম: ঢাকা, রবিবার, ২৯ জুলাই ২০১৮ | ১৪ শ্রাবণ ১৪২৫
আবারও শিশু ধর্ষণের ঘটনা। এবারের ঘটনাস্থল ভারতের রাজস্থান। প্রতিদিনই খেলতে বের হয় ৭ বছরের শিশুটি, আবার ফিরেও আসে। সেদিনও সন্ধ্যার সময় আপন মনেই খেলতে বেরিয়েছিল। কিন্তু আর ফিরল না। দুদিন পর অবশ্য সারাক্ষণ বাড়ি মাতিয়ে রাখা মেয়েটি নিথর, নিশ্চুপ হয়ে ফিরে এসেছে। দেহ সাদা কাপড়ে মোড়ানো। লাশকাটা ঘর থেকে আসা মেয়েটির গলায়, মুখে, শরীরে অত্যাচার-নির্যাতনের ক্ষতচিহ্ন!
রাজস্থানের ঝালওয়ার জেলার এই ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা ভারত। ঘটনা তদন্তে পুলিশ স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) গঠন করেছে। এই দলে আছে প্রশিক্ষিত কুকুর, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও সাইবার সেলের বিষেশজ্ঞরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশেই খেলতে বেরিয়েছিল শিশুটি। রাতে না ফেরায় তার বোন খুঁজতে বের হয়। এরপর পরিবার-পরিজনরা আশপাশের এলাকায় খুঁজেও রাতে আর শিশুটিকেকে পাননি। সকালে পুলিশের দ্বারস্থ হয় তারা। শনিবার বিকালে পুলিশ পুরো এলাকায় তল্লাশি করে অবশেষে বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরেই উদ্ধার করে শিশুটির মৃতদেহ।
ময়নাতদন্তে জানা যায়, শিশুটিকেকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তার পর নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে গলা টিপে। গণমাধ্যমকে শিশুটিকের বাবা বলেছেন, ‘সন্ধে ৬টার দিকে রুটি খেয়ে বাড়ির পাশেই খেলতে বেরিয়েছিল। বেশ কিছুক্ষণ পরেও ফিরে না আসায় বড় মেয়ে খুঁজতে বেরোয়। কিন্তু সে খুঁজে পায়নি। কী দোষ করেছিল আমার ছোট্ট মেয়েটা?’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেই ঝালওয়ারেই ৬ বছরের শিশুকে বাড়ির পাশেই চাষের জমিতে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। তারপর সামনে এসেছে কাঠুয়া, উন্নাওয়ের বীভৎস সব ঘটনা। প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মুখে সংশোধন করে কঠোরতম হয়েছে শিশু ধর্ষণ আইন। সাজা হয়েছে ফাঁসি। কিন্তু তার পরেও থামেনি শিশু ধর্ষণ বা হত্যাকাণ্ড।
সূত্র: উইমেন ওয়ার্ডস