বিশেষ প্রতিনিধিঃ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে মাঠপর্যায়ে তোড়জোড় শুরু করেছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী তালিকায় থাকবে তরুণদের নাম। ফলে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ও নির্বাচনী এলাকার নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মন জয়ে দৌড়ঝাঁপ বাড়িয়ে দিয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এরই মধ্যে অন্তত দেড় ডজন তরুণ নেতাকে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। যাদের তালিকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন ছাত্রনেতার নামও শোনা যাচ্ছে।
যাদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান শিখর। শিখর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব হন। তিনি দীর্ঘদিন সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। মাগুরা-১ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতার।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোঃ সাখাওয়াত হোসেন শফিক। তিনি বগুড়া-৬ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। মনোনয়ন পেতে তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে এবং এলাকার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সাথেও সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আয়েন উদ্দিন বর্তমানে রাজশাহী-৩ আসনের এমপি। তিনি এবারো তার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো।
জয়পুরহাট-২ আসনটিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক তাজমহল হীরক আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দৌড়ে অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে। বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মকান্ড আর বিচক্ষণ নেতৃত্বগুণে ইতিমধ্যে জয়পুরহাট-২ বাসীর আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন দুঃসময়ের সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা। তাজমহল হীরক ১/১১ (ওয়ান এলিভেনে) দেশরত্ন শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। নেত্রীর মুক্তির জন্য দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন। তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা তাজমহল হীরক তার নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের বার্তা ভোটারদের সামনে তুলে ধরছেন। তরুণ প্রার্থী হওয়ায় তার প্রতি ভোটারদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক তাজমহল হীরক বলেন, জয়পুরহাট -২ আসনের জনগণ নৌকার মাঝির পরিবর্তন চায়। নৌকার মনোনয়ন পেলে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন বলে আশাবাদী ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী ও বর্তমান বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি নাটোর-৪ আসনে মনোনয়ন চাইছেন। মনোনয়ন পাওয়ার লক্ষ্যে তিনি ভোটের মাঠে আছেন।
ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী এই নেতাদের অনেকে এলাকায় ইতিমধ্যে বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছেন। মনোনয়নের দৌড়ে পুরনো প্রার্থীদের সামনে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছেন তারা। তাদের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা যেমন রয়েছেন তেমনি আছেন ছাত্রলীগ কিংবা অঙ্গসংগঠনের নেতাও।