এরশাদ বললেন, ‘আর ২০১৪’র মতো নাটক করবো না। নির্বাচনে যাবো। আমৃত্যু আওয়ামী লীগের সঙ্গেই থাকবো।’ গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে এরকম মন্তব্য করেন এরশাদ। বৈঠক সূত্রে এখবর জানা গেছে।
আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার বিষয়ে সম্মত হয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। বৃহত্তর স্বার্থে ছাড় দিয়ে হলেও এ মাসের মধ্যেই ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে ঐক্য প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।
গতকাল রোববার ২০ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
একই দিনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সংসদ ভবনস্থ প্রধানমন্ত্রীর দফতরে গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু ও কাজী ফিরোজ রশীদ।
এই বৈঠকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচনী জোট প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে নির্বাচনী জোট করার আগে জাতীয় ঐক্য কতদূর পর্যন্ত যায় তা পর্যবেক্ষন করা হবে। যদি বিএনপি জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে একত্রে নির্বাচন করে তাহলে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিও একসাথে নির্বাচনে যাবে।
এছাড়া আগামী ৬ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ওই সমাবেশের বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করেন এরশাদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বৈঠকে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়েও আলোচনা হয়। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ নির্বাচনকালীন সরকারে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে কয়েকজনের নাম সুপারিশ করেন। তবে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।